যশোরে অপহরণ ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সদুল্যাপুর গ্রামে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে আনিচুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ, বাড়ি দখল, ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে দুই জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৯ জনকে আসামি করে সোমবার আমলী আদালতে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের ভাই নান্নু চাকলাদারকেও আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী আনিচুর রহমানের স্ত্রী রুমা বেগম মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী এসকে মোমিনুল ইসলাম আমিনুল।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক আইসি এসআই আসাদুজ্জামান, বর্তমান টু-আইসি এএসআই আলিমুজ্জামান, সদুল্যাহপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ খানের দুই ছেলে আমিনুর রহমান খান ও মোমিনুর রহমান খান, বসুন্দিয়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে রুবেল, জগন্নাথপুর গ্রামের সামছু মীরের ছেলে আকাশ মীর, কাদের খানের ছেলে রজিব খান ও বাঘারপাড়া উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত পাচু মোল্লার ছেলে হারুন মোল্লা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আনিচুর রহমানের সাথে তার ভাইদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। দুই ভাই মোমিনুল ইসলাম খান ও আমিনুর রহমান খান বাড়ি ও সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করায় তাদের বিরুদ্ধে যশোরে আদালতে দেওয়ানী মামলা করেন আনিচুর রহমান। চলতি বছরের ২৭ জুন আনিচুর রহমান আদালতে দেওয়ানী মামলায় হাজিরা শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। শহরের মধ্যে থেকেই আসামি মোমিনুল ইসলাম ও হারুন মোল্লা তার মোটরসাকেলের গতিরোধ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের সহায়তায় তাকে ইজিবাইকে উঠিয়ে চিত্রা মোড়স্থ আবাসিক হোটেল ম্যাগপাইয়ের নিচে নিয়ে যান। এরপর তারা তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য এসে তাকে হুমকি ধামকি দেয়। বেলা ২টার দিকে আসামি নান্নু চাকলাদার সেখানে এসে আনিচুর রহমানের কাছ থেকে সবকিছু শুনে তাকে বাড়ি থেকে সকল মালামাল সরিয়ে নিতে বলেন। তার স্ত্রী রুমা বেগমকে মোবাইল ফোন করে মালামাল সরিয়ে নিতে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। নইলে আনিচুর রহমানকে খুন করে লাশ গুম করে দেওয়া হবে বলে তাকে হুমকি দেন। এরই মধ্যে আসামিদের সহযোগীরা আনিচুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুট মালামাল লুট করেন।
এ ঘটনায় রুমা বেগম জরুরি সেবার ৯৯৯ কল করলে বসুন্দিয়া ক্যাম্পের দুই পুলিশ কর্মকর্তা আসামি এসআই আসাদুজ্জামান ও এএসআই আলিমুজ্জামান ঘটনাস্থলে গেলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ওই সময় তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি রুমা বেগম। তবে পরিবেশ অনুকূলে হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।