আবদ্ধ পানিতে শার্শার ৬শ’ একর জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা

0

আজিজুল ইসলাম, বাগআঁচড়া (যশোর)॥ যশোরের শার্শার দক্ষিণাঞ্চলের মাখলা, ঠেঙামারী ও গোমর বিলে এখনো ১০ ফুট পানি। ফলে ইরি- বোরো ধানের চাষ নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষিরা।
এ বছরের একটানা ভারি বর্ষণে এলাকার ছোট বড় ও মাঝারি সব বিল তলিয়ে রয়েছে আষাঢ় মাসের শুরু থেকে। এখন অগ্রহায়ন মাস। এমনিতেই ১৯৭০ সালের পর থেকে ইছামতী নদী তার নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। আর সেই ৫৪ বছর আগে থেকেই কপাল পুড়েছে এ অঞ্চলের চাষিদের। বিলের পানি আগের মত আর নিষ্কাশিত হতে পারেনা। উপরন্তু নদীর উজানের পানি উপজেলার রুদ্রপুর-দাউদখালী খালদিয়ে মাখলা ও সোনামুখি বিলে প্রবেশ করে পানিবন্দী অবস্থার সৃষ্টি হয়। ৬ মাস ধরে বিল তলিয়ে থাকে। এর সমাধানের জন্যে ৮০- র দশকে রুদ্রপুর – দাউদখালী খালের ওপর ৩ ব্যান্ডের স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু উজানের পানি রোধ করা যায়নি। এরপর ৯০ দশকে ২০ গজ দূরত্বে আরো একটি ৫ ব্যান্ডের স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। এতে নির্মাণ কাজে ত্রুটি থাকায় আগের মতই উজানের পানি প্রবেশ করে মাঠ ঘাট তলিয়ে যেতে থাকে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে দাউদখালী খালের প্রবেশ মুখে বাঁধ দিয়ে মেশিনের সাহায্যে পানি সেচে ঠেঙামারী বিলে ধান রোপণের ব্যাবস্থা করা হয়। এ বছর পানির চাপ অনেক বেশি থাকায় ও অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় সেটিও সম্ভব হবেনা।
রুদ্রপুর গ্রামের চাষি আকবর হোসেন জানান, ঠেঙামারী বিলে এখনো ৮ থেকে ১০ ফুট পানি রয়েছে। যে কারণে মৌসুমে ধান চাষ করা যাবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, মাখলা বিলে ৪০০ একর, ঠেঙামারী বিলে ৫০০ একর ও গোমর বিলে ২০০ একর জমিতে ইরিধানের চাষ করা হয়। বিলে পানির কারণে চলতি মৌসুমে মাখলা বিলে ২০০ একর, ঠেঙামারী বিলে ২৫০ একর ও গোমর বিলে ১০০ একর জমি পতিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা পানি নিষ্কাশনের জন্যে গোমর বিলের মাঝখান দিয়ে খাল কেটে কলারোয়ার সোনাই নদীতে সংযোগ করার জন্যে নকশা সহকারে সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, বিলের পানি সোনাই নদী দিয়ে ভারতের ইছামতী নদীতে ফেললেই এ সমাধান হবে।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আমি বিলের মাঠ পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে অবহিত করা হয়েছে।