যশোরে সবজিতে ফিরছে স্বস্তি

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন।। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠে সবজি চাষিরা আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সরবরাহ বেড়ে এ সপ্তাহে বাজারে সবজির কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। চালের দামও গত সপ্তাহে ৪ টাকা বাড়ার পর এ সপ্তাহে কেজিতে কমেছে ২ টাকা। তবে বেড়েছে আলুর দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম,মুরগি,গরুর মাংস ও পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
সাম্প্রতিককালে একের পর এক টানা বৃষ্টিপাতে যশোর অঞ্চলে সবজি আবাদে ব্যাপক ধস নামে। শুধুমাত্র উঁচু এলাকা ছাড়া নিচু ক্ষেতগুলো পানিতে নিমজ্জিত ছিল। যৎসামান্য যে সবজিগুলো বাজারে আসতো তার দামও ছিল আকাশচুম্বি। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। বর্তমানে সে অবস্থা কাটিয়ে উঠে নতুন করে চাষিরা আবারও আবাদ শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়ায় বাজারে প্রতি কেজি সবজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।
বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতা নাসির আলী জানান, তিনি এদিন শিম বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। টমেটো বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ টাকা। উচ্ছে বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা। তবে আলুর দাম এ সপ্তাহে কেজিতে আরও ৫ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের মতো দেশি ১৪০ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড় বাজার এইচএমএম রোডের আড়তদার ‘আরিফ ভাণ্ডারের’ অন্যতম স্বত্বাধিকারী সুজিত কাপুড়িয়া বাবলু জানান,আগামী দু সপ্তাহের ভেতর বাজারে শীতের সবজি চলে আসবে। এ সময় দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালে চলে আসবে বলে তিনি আশা করছেন। তবে পুরোপুরি শীতের সবজি বাজারে ভরপুর সরবরাহ হতে এক মাস লাগবে।
এদিকে গত সপ্তাহে চালের বাজার অস্থির হওয়ার পর কিছুটা নরম হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে সব ধরনের চালের কেজিতে ২ টাকা কমেছে। বড় বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা সুশীল কুমার বিশ্বাস জানান, শুক্রবার বাংলামতি চাল মানভেদে ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা, কাজললতা চাল ৬৬ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা, বিআর-৬৩ চাল ৭০ থেকে ৭২ টাকা, বিআর-৪৯ চাল ৬০ টাকা, নূরজাহান চাল ৫৪ টাকা ও হীরা চাল ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চাল ব্যবসায়ীরা জানান, আগামী মাসে নতুন আমন ধানের চাল বাজারে চলে আসলে দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমন ধানের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তাতে করে নতুন চাল খুব একটা কমার সম্ভাবনা নেই।
বাজারে এ সপ্তাহে খামারের মুরগি ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৯০ টাকা ও লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা। আর বড় বাজার কাঠেুরপুলে বিক্রেতারা প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা দরে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন। তবে বিক্রেতারা কারো কারো কাছ থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকাও নিচ্ছেন।