যশোরের খোলাডাঙ্গায় এবার ব্যবসায়ী নেতা খুন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের খোলাডাঙ্গায় যুবক আসাদুল ইসলাম হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আমিনুল ইসলাম সজল (৪৪) নামে এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। সোমবার রাতে এশার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাওয়ার পথে খোলাডাঙ্গা সার গোডাউনের পেছনে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহত আমিনুল ইসলাম সজল খোলাডাঙ্গার আজিজুল ইসলাম মিন্টুর ছেলে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড জামায়াত কর্মী ও গাজির বাজার শান্তি শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। সজলের ৮ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের ভাই আজহারুল ইসলাম জানান, খোলাডাঙ্গা গাজীর বাজারে তার ভাই সজলের একটি স্যানেটারির দোকান রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সজল দোকান খোলা রেখে মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। পথে খোলাডাঙ্গা সার গোডাউনের পেছনে পৌঁছালে ৭/৮ জন দুর্র্বৃত্ত আচমকা তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ কে এম সুজায়েত হোসেন জানান, রাত ৭টা ৩৫ মিনিটে ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো।


আজহারুল ইসলাম জানান, কী কারণে কারা তার ভাইকে হত্যা করেছে তা তারা এখনো জানতে পারেননি।
গাজির বাজারের ব্যবসায়ী ও নিহতের ভাগনে আব্দুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি গাজীর বাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সব ব্যবসায়ীর মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন সজল। তবে একই এলাকার কামরুল ওরফে খোড়া কামরুল এই কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কমিটি করা নিয়ে এর আগেও কামরুল ঝামেলা সৃষ্টি করেছিল। সভাপতির সঙ্গে তার পূর্ব বিরোধ ছিল। সম্প্রতি কামরুল জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তি পেয়েই প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছি।’
কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কারা কী জন্যে ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে বিষয়টি তারা তদন্ত করছেন।
উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর খোলাডাঙ্গা ব্র্যাক অফিসের বিপরীতে আসাদুল ইসলাম নামে এক যুবক খুন হন। তিনি খড়কি দক্ষিণ পাড়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর শহরতলীর শেখহাটি বাবলাতলা আদর্শ পাড়ায় ভাড়াটিয়ার হাতে খুন হন শাহানারা বেগম নামে এক নারী। তিনি একই এলাকার আতিয়ার রহমানের স্ত্রী। সজলসহ এক মাসে যশোরে নয়টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
এদিকে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের আটকের দাবিতে রাতেই মিছিল বের করে জামায়াত। মিছিলটি শহর প্রদশিক্ষণ করে থানার সামনে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।