যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরের চুরির সঙ্গে দুর্গাপূজার কোন সম্পর্ক নেই, যশোরে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি

0

স্টাফ রিপোর্টার

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরের চুরি যাওয়া স্বর্ণের মুকুট চুরির সঙ্গে দুর্গাপূজার কোন সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. রেজাউল হক। তিনি শুক্রবার রাতে যশোর শহরের রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশনে শারদীয় দুর্গাপূজা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই মন্দিরে স্থানীয় দুটি পক্ষের বিরোধ রয়েছে। একটা পক্ষ মন্দিরটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে। স্থানীয়ভাবে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে অন্য কিছু জড়িত রয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধান করছে। দেশবাসী একটু অপেক্ষা করেন, দ্রুতই সবকিছু পরিস্কার করা হবে।
খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি আরও বলেন, সিসিটিভি থেকে আমরা দেখেছি চোরটির বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। চোরটি সুকৌশলে কালি মন্দরের ভিতরে ঢুকে প্রতিমার পিছন থেকে চুরির কাজটি করেছে। তাকে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে চেনা যাচ্ছে। আমরা স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িতদের সঙ্গে আলাপ করেছি। ছেলেটির ছবি তাদেরকে দেখেছি। এখন আমরা অনুমান করছি, ছেলেটি ওই অঞ্চলের নয়। আমরা তার পরিচয় এখনো পাইনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেটা মনে করছি সমাজে কিছু খারাপ মানুষ থাকে। যারা আমাদের উৎসবকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই কাজটি করেছে। এখন ঘরে ঘরে দূর্গাপূজার উৎসব চলছে, আর যে মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে সেটা কালি মন্দির। ফলে দুর্গাপূজার সঙ্গে চুরির কোন সম্পর্ক দেখছি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি, আশা করি দ্রুত চোরকে চিহ্নিত এবং মুকুটটি উদ্ধার করতে পারবো।

এর আগে ডিআইজি শহরের লালদীঘিস্থ হরিসভা মন্দির পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে যশোরের পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দীন আহমেদ, যশোরের রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশন অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ, জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতনসহ পুলিশ ও পূজা পরিষদের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহার হিসেবে দেওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুটটি চুরি হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। চুরি যাওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুটটি এখনো উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। চুরির ঘটনায় থানায় কোনো মামলাও হয়নি।