আমদানির প্রভাব নেই ডিমের দামে অপরিবর্তিত চাল ও মাংসের দর

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন
যশোরে তিন সপ্তাহ আগে ডিমের দাম বাড়ানোর পর খামারিরা আর কমাননি। চলতি সপ্তাহেও চাল ও গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সবজির বাজারও স্থিতিশীল নয়, এ সপ্তাহে দাম ওঠানামা করেছে। তবে খামারের সোনালি মুরগির দাম বেশ কিছুটা কমেছে। ভোক্তারা বলছেন, সম্পতি ভারত থেকে মুরগির ডিম আমদানি হয়ে আসার পরও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। গতকাল শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বড় বাজারে খামারের মুরগির ডিম প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৫০ পয়সা দরে। তিন সপ্তাহ ধরে বিক্রেতারা বর্ধিত দামেই বিক্রি করে চলেছেন। বিক্রেতা গোলাম মোস্তফা বাবলা ও শুভ জানান, তারা খামারিদের কাছ থেকে গত বৃহস্পতিবার পাইকারি প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা ৮০ পয়সা দরে কিনেছেন। খামারিরা ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ক্রেতা রেল রোডের বাসিন্দা জোনু মিয়া জানান, শুনলাম বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় ডিম আমদানি হয়েছে, দাম তো কমার কথা, কিন্তু কমেনি।
তবে খামারের সোনালি মুরগির দাম এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে। শুক্রবার বিক্রেতা ইমরান হোসেন প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ২৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন, গত সপ্তাহে ছিল ২৬০ টাকা। তাছাড়া ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা ও লেয়ার বিক্রি হয়েছে ৩৩০ টাকা কেজি দরে।
এ সপ্তাহে বাজারে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার বড় বাজার চালবাজারে বাংলামতি চাল মানভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮৬ থেকে ৮৮ টাকা, মিনিকেট চাল ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, কাজললতা চাল ৬৪ টাকা, বিআর-৪৯ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা ও মোটা নূরজাহান চাল ৫০ থেকে ৫৪ টাকা। যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার বিশ^াস জানান, আপাতত চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ হাটে ধানের দাম বেশি।
এদিকে শহরের বেশ কয়েক জায়গায় গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে বড় বাজার কাঠেরপুলের বিক্রেতারা বাধ্য হয়ে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা কমিয়ে গত সপ্তাহ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি শুরু করছেন। শুক্রবার বিক্রেতা মো. আব্বাস জানান, কাঠেরপুলের সব দোকানেই এখন ৭০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে।
বড় বাজারে সবজির দাম এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। প্রতি সপ্তাহে দাম ওঠানামা করছে। শুক্রবার বিক্রেতা নাসির আলী জানান, তিনি ভালো মানের গাজর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, উচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ওল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, করোলা ৬০ টাকা, মুখিকচু ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কুশি ৫০ থেকে ৬০ টাকা,শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও শীতের আগাম সবজি শিম ২০০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।