কাজুবাদামের দাম কমায় লাভ হবে ভারতের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব বিশ্বের কোনায় কোনায় পৌঁছে গেছে। চীন আমদানি করে এমন পণ্যের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। এর মধ্যে কাজুবাদাম অন্যতম। তবে খাদ্যপণ্যটির দাম কমায় হাসি ফুটেছে ভারতের ব্যবসায়ীদের মুখে। এ সুযোগে অর্থ বাঁচিয়ে পণ্যটির আমদানি বাড়িয়ে নিতে পারবেন তারা। খবর ইকোনমিক টাইমস।
বিশ্বের শীর্ষ কাজুবাদাম উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশ ভিয়েতনাম। পণ্যটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অনেকটা একাই নিয়ন্ত্রণ করে দেশটি। দেশটি থেকে মোট রফতানি হওয়া অপ্রক্রিয়াজাত কাজুবাদামের একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রফতানি হয় চীনের বাজারে। প্রানঘাতী ভাইরাসটির প্রকোপে চীন এখন টালমাটাল। অন্যান্য পণ্যের ন্যায় দেশটিতে কাজুবাদামের ব্যবহারও কমেছে। সঙ্গে কমছে আমদানি। এতে সংকটে পড়েছে ভিয়েতনামের কাজুবাদাম খাত। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে আগের তুলনায় ২০০-৩০০ ডলার পর্যন্ত কমে প্রতি টন কাজুবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ ডলারে। তবে এ পরিস্থিতি সাপে বর হয়ে দেখা দিয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে।
কারণ ভারত বিশ্বের শীর্ষ কাজুবাদাম ভোক্তা ও আমদানিকারক দেশ। এমনকি দেশটির অভ্যন্তরীণ কাজুবাদাম প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রতি বছর যে পরিমাণ কাঁচামালের প্রয়োজন, তার ৬০ শতাংশ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। ফলে পণ্যটির দাম কমায় দেশটি একটু বাড়তি সুবিধা পাবে বৈকি।
ভারতের কর্ণাটকভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কালবাভি কাজুসয়ের প্রধান কে প্রকাশ রাও জানান, কাজুবাদামের বাণিজ্যে ভিয়েতনামের অনুপস্থিতি বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। পণ্যটির দাম কমে পাউন্ডপ্রতি ৩ ডলার ১৫ সেন্ট থেকে ৩ ডলার ৩০ সেন্ট নামতে পারে, বর্তমানের তুলনায় যা ১৫ থেকে ৩০ সেন্ট কম। এতে কম দামে অপ্রক্রিয়াজাত কাজুবাদামের আমদানি বাড়াতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। ফলে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠতে পারে দেশটির প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো। একই সঙ্গে দেশটিতে পণ্যটির ব্যবহার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এতে দেশটি থেকে প্রক্রিয়াজাত করা কাজুবাদাম রফতানি খাতের খুব একটা লাভ হবে না বলে জানান তিনি। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে দেশটি প্রতি বছর কয়েক হাজার টন কাজুবাদাম আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি করে, যার বেশির ভাগ প্রকিয়াজাত করা। চীনের বাজারে পণ্যটির চাহিদা কমায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভারতের এ খাতটি।