ঝিকরগাছা পারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ

0

 

ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা॥ যশোরের ঝিকরগাছা পৌর সদরের পারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান গত ৮ বছরে ধরে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের ২১জন শিক্ষক-কর্মচারী। এরআগে সোমবার সকালে প্রধান শিক্ষকের দখলে থাকা বিদ্যালয়ের একবিঘা জমি উদ্ধার ও খেলার মাঠ তৈরি ও খেলার সামগ্রীর দাবিতে শিক্ষার্থীরা স্কুলের মেইন গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ করে।
এদিকে শিক্ষক কর্মচারীরা সোমবার ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, ২০১৬ সালের ২২ মে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান পারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা একবিঘা জমি নিজেই ভোগদখল করে আসছেন। ৮ বছরে তিনি কোন লিজের টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা দেননি। এছাড়া ক্রয়কৃত জমি বিদ্যালয়ের নামে নামজারি করেননি। গত ৮ বছরে বিদ্যালয়ের আয়ের যাবতীয় অর্থ প্রধান শিক্ষক নিজে ও অফিস সহকারী মানিকের যোগসাজসে অবৈধভাবে ভাউচার বানিয়ে আত্মসাত করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সহকারী শিক্ষকরা বলেন, তারা ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে দেখেছেন বিদ্যালয়ের জেনারেল ফান্ড ও টিউশন ফান্ড একেবারে শূন্য। চলতি বছর ব্যাংকে জমা টিউশন ফিসের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে কোন প্রকার মিটিং ছাড়াই সম্প্রতি ১ লাখ ৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে প্রধান শিক্ষক আত্মসাত করেছেন। এভাবে ৮ বছর ধরে টিউশনের সমুদয় টাকা প্রধান শিক্ষক উঠিয়ে নিজ ইচ্ছায় খরচ করেছেন। প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান যোগদানের পর থেকে কখনো কোন ক্লাস নেননি। গত ৮ বছরে বিদ্যালয়ে কোন উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। বিদ্যালয়ের ৫০৪জন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে সেশন ফিস ৬০০টাকা, ৬ষ্ট থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার ফিস ৪০০টাকা, বেতন ১৫০টাকা প্রতিমাসে, নবম ও দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফিস ৫০০টাকা, বেতন ২০০টাকা প্রতিমাসে আদায় করা হয়। এছাড়া নবম ও দশম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফিস ৪০০টাকা, কোচিং বাণিজ্য, ব্যবহারিক পরীক্ষায় আদায়কৃত অর্থ ও এসএসসি পাসের প্রশাংসাপত্র বিতরণ বাবদ ৪০০টাকা করে আদায় করা হয়। এসব আদায়কৃত টাকার কোন অংশ গত ৮বছরে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের দেওয়া হয়নি। এছাড়া তিনি একটি এফডিআর ভাঙিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এফডিআরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় লভাংশ উঠিয়ে নিয়ে আবারো এফডিআর করার চেষ্টা করছিলেন। অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আগের সরকারের আমলে যারা সভাপতি ছিলেন তাদের কারণে অনেক কিছু করা সম্ভব হয়নি। জমির লিজের টাকার বিষয়ে বলেন, সভাপতির অনুমতিক্রমে তিনি ওই জমি চাষাবাদ করেছেন।