পাইকগাছায় মধুমিতা পার্কে অবৈধভাবে নির্মিত আ.লীগ কার্যালয় উচ্ছেদ হয়নি

0

জিএম মিজানুর রহমান, পাইকগাছা (খুলনা) ॥ পাইকগাছায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মধুমিতা পার্কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে রয়ে গেছে অবৈধভাবে নির্মিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়। এটিও উচ্ছেদের দাবি উঠেছে।
জানা যায়, ১৯৮০ সালে পাইকগাছা পৌর সদরে মধুমিতা পার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্কে নানা প্রকার গাছের চারা ফুলের বাগান, বিনোদন ও বসার জন্য তৈরি করা হয় সুন্দর পরিবেশ। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ২০০৪ সালে একশ্রেণির লোক পার্কের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা করতে থাকে। যা বন্ধের দাবিতে সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক ও আব্দুল মজিদকে সদস্য সচিব করে গঠিত হয় মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি। শুরু হয় আন্দোলন, সংগ্রাম ও বিভিন্ন দপ্তরে করা হয় অভিযোগ। তারপরও দখলবাজি বন্ধ না হওয়ায় সহকারী জজ আদালত পাইকগাছায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করা হয়। আদালত নির্মাণ কাজ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দেন।
এ আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণ ও ব্যবসা অব্যাহত থাকলে সংরক্ষণ কমিটি ২০০৫ সালে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি শেষে ২০০৫সালের ২৪ মে মধুমিতা পার্কের অভ্যন্তরে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করার আদেশ প্রদান করেন। সে আদেশও অমান্য করায় আদেশ অমান্যকারীরদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে কনটেম্পট পিটিশন করা হয়। শুনানি শেষে গত ১৩ মার্চ ২০২৩ হাইকোর্ট মামলার বিবাদীদের ২০দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পার্কটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে আদেশ দেন। সেটাও অমান্য করতে থাকায় পুনরায় আদালতকে বিষয়টি অবহিত করা হলে পুনঃ আদেশে ২০ মে ২০২৩ এ খুলনা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিনের উপস্থিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
উচ্ছেদ করা হয় ৩ টি পাকা স্থাপনা। কিন্তু দ্বিতল কক্ষ বিশিষ্ট কয়েক কক্ষের আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি থেকে যায় অক্ষত। যা আজও উচ্ছেদ করা হয়নি। যেটি উচ্ছেদের জোর দাবি উঠেছে। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহের নাজনীন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের কোনো আদেশ থাকলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।