পাইকগাছায় বছরে ২৪ হাজার মে.টন চিংড়ি ও মৎস্য উৎপাদন

0

এইচএম শফিউল ইসলাম,কপিলমুনি (খুলনা) ॥ লবণ পানির বাগদা চিংড়ি চাষ বদলে দিয়েছে উপকূলীয় জনপদ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ৩ লাখ মানুষের জীবনমান। উৎপাদিত মৎস্য স্থানীয় চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বিদেশে রফতানি করা হয়। এখানকার মৎস্য সম্পদ স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ব্যাপক কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এখানকার সাধারণ মানুষ। এখানকার চিংড়ি ও অন্যান্য মৎস্য সম্পদকে ঘিরে প্রসারিত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য।
উপজেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর বলেন, এখানকার উৎপাদিত চিংড়ি ও অন্যান্য মৎস্য সম্পদ স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। চিংড়ি ও মৎস্য খাত রক্ষা করার জন্য গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক জানান, বর্তমানে উপজেলায় ১৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হচ্ছে। প্রতিবছর এ উপজেলা থেকে অন্তত ২৪ হাজার মেট্রিকটন চিংড়িসহ অন্যান্য মৎস্য উৎপাদন হচ্ছে। যার আনুমানিক আর্থিক মূল্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে চিংড়ি ও মৎস্য চাষিদের সবধরনের সহযোগিতা করা হয় বলে মৎস্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট এ কর্মকর্তা জানান। উপকূলীয় এ জনপদের চিংড়ি ও অন্যান্য মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে সরকার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।