পেঁয়াজ ১০০ কাঁচা মরিচ ৩২০ সবজির বাজারে আগুন

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। এ সপ্তাহে নতুন করে আরও বেড়েছে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম। চিকন চালের দাম বাড়ার পর এক জায়গায় স্থির রয়েছে। খামারের সোনালি ও লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়। অনেক ক্রেতাই বাধ্য হয়ে কম মূল্যে বাজার থেকে নিম্নমানের পণ্যসামগ্রী কিনে বাড়ি ফিরছেন। শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শুক্রবার বড় বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায় ১০০ টাকা। খুচরা বিক্রেতা তামিম হোসেন জানান, পাইকারি বাজারে আড়তে পেঁয়াজের দাম বেশি। বড় বাজারের আড়তদার বাগান চন্দ্র সাহা জানান, তিনি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি ৯৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। এ অঞ্চলে আসা রাজবাড়ি ও ফরিদপুরের বড় মোকামগুলোতে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে এক সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে শুক্রবার বড় বাজারে ফরিদপুরের মধুখালীর ঝিয়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে। এদিন খুচরা সবজি বিক্রেতা নাসির আলী জানান, শুধু কাঁচা মরিচই নয় অন্যান্য সবজির দামও এ সপ্তাহে নতুন করে বেড়েছে। তিনি ভালোমানের উচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, গাজর ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বেগুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাকরোল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করোলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মুখিকচু ৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, বৃষ্টিতে সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলন কমে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় বাজারে সবজির দাম বেড়েছে।
বড় বাজার চালবাজারে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতা সাখাওয়াত হোসেন চিকন চাল বাংলামতি মানভেদে ৮০ থেকে ৮৪ টাকা ও মিনিকেট চাল ৫৮ থেকে ৬৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। গত দু সপ্তাহ আগে এই চালের প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়ে আর কমেনি। এ ছাড়া এদিন কাজললতা বিক্রি হয়েছে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, বিআর-৬৩ চাল বিক্রি হয়েছে ৬৮ থেকে ৭৪ টাকা, বিআর-২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা ও মোটা নূরজাহান চাল বিক্রি হয়েছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা।
খামারের সোনালি ও লেয়ার মুরগির দাম এ সপ্তাহে অপরিবর্তিত থাকরেও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বিক্রেতা আবুল হাশেম জানান, তিনি সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা ও লেযার মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম এ সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েচে। বিক্রেতা আবুল হাশেম আরও জানান, বৃষ্টি হলে খামারের মুরগির দাম কমে আসবে।
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। শুক্রবার বাজার করতে আসা ক্রেতা শহরের বারান্দিপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হাই বলেন, ভালোমানের কোনো পণ্যে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি এদিন পছন্দ হবে না এমন বরবটির কেজি কিনেছেন ৭০ টাকায়। অথচ একই বাজারে ভালোমানের বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। তিনি আরও জানান, বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিক রকম বেশি। বাজার করতে আসলে মাথা ঘুরে যাওয়ার উপক্রম হয়।