যশোরে ঈদের পরও বাজার চড়া

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন।। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন ক্রেতাদের জিম্মি করে প্রচুর মুনাফা লুটে নিয়েছে যশোরের বড় বাজার কাঠেরপুলের মাংস বিক্রেতারা। ঈদের আগের দিন প্রতি কেজি গরুর মাংসে তারা ৫০ টাকা বেশি নিয়ে ৭৮০ টাকায় বিক্রি করেছেন। অবশ্য এখন ৩০ টাকা কমিয়ে ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়া ঈদের আগে আলু ও পেঁয়াজের কেজিতে বিক্রেতারা ১০ টাকা করে বাড়িয়ে এখনও ওই দামে বিক্রি অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া যৌক্তিক মূল্য অগ্রাহ্য করে চলেছেন বিক্রেতারা।
যশোরের বড় বাজার কাঠেরপুলে রোজার মধ্যে বিক্রেতারা গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৩০ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন। কিন্তু তারা ঈদের আগের দিন ক্রেতাদের জিম্মি করে প্রতি কেজিতে এক লাফে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৭৮০ টাকায় বিক্রি করেছেন। ঈদের পরের দিন থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করে আসছেন। অথচ গত ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া যৌক্তিক মূল্য গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪৪ টাকা ৩৯ পয়সা দাম অগ্রাহ্য করে চলেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সরেজমিন দেখা যায়,মাংস বিক্রেতারা প্রকাশ্য ৭৫০ টাকা মূল্য তালিকা টানিয়ে বিক্রি করছেন।
বাজারে মুরগি বিক্রেতারাও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও বেশি মূল্যে খামারের মুরগি বিক্রি করছেন। রোজার আগে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ২১০ টাকায়।
শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা যায় ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া যৌক্তিক মূল্য হচ্ছে ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা ও সোনালী ২৬২ টাকা।
বড় বাজারে মুগ ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা, রোজার আগে ছিল ১৭০ টাকা। ছোলার ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা, রোজার আগে ছিল ৯০ টাকা। বুটের ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা, রোজার আগে ছিল ৭০ টাকা। এসব ডালের দাম বাড়ার পর আর কমেনি। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ঈদের আগে আলু বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ৪৫ টাকা, বিক্রেতারা প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে এখন বিক্রি করছেন ৫৫ টাকায়। পেঁয়াজেও ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ৬০ টাকা।
বিক্রেতাদের ইচ্ছেমত দামে পণ্য বিক্রির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যশোরের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম লোকসমাজকে জানান, এ বিষয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে, অনিয়ম পাওয়া গেলে সেখানে জরিমানাও করা হচ্ছে। বড় বাজারের বিষয়ে তিনি বলেন খুব শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।