যশোরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা ডামি সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাবন্দি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড.সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। মঙ্গলবার যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ নামক ডামি সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছে। অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৫১ জন নেতা-কর্মীকে সাজানো মামলায় কারারবণ করতে হয়েছে। আজকে ডামি সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের দমনের জন্যে নি¤œ আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। চৈত্রের খরতাপকে উপেক্ষা করে প্রিয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগ দেন।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে জনতার আন্দোলন থেকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। গেল ৭ জানুয়ারি অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে খুলনা বিভাগের সমগ্র জনতা শেখ হাসিনার ডামি নির্বাচন বর্জন করেছিল। সেই নেতাকে কারগারে রেখে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘরে বসে থাকবে না।
তারা বলেন, আজকে চারদিকে এক ভয়ের রাজত্ব বিরাজ করছে। যেখানে বিচারকরা পর্যন্ত নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন কিনা সন্দেহ আছে। যেখানে সরকার দলীয় শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিন পায়; আর জনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মত নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলার বোঝা নিয়ে কারাবরণ করতে হয়।
বক্তারা বলেন, আজকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ছাত্রলীগের তান্ডবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকতে পারছেন না। রাজনীতির নামে তারা সরকারের সহযোগিতায় গুন্ডামি ও অপরাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছে। সেদিকে সরকারের কোন লক্ষ্য নেই, তাদের লক্ষ্য একটাই কীভাবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা যায়। কিন্তু বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা সহজ কাজ নয়। কারণ বিএনপির সাথে জনগণ আছে। বিএনপি জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে। বিএনপির নেতৃত্বে বর্তমান শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বৈরশাসককে উৎখাতের আন্দোলন চলছে । উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠাতা না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বক্তারা অবিলম্বে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ সকল রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। অন্যথায় খুলনা বিভাগের সমগ্র জনগণকে সাথে নিয়ে তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করার হুশিয়ারি দেন তারা।
জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুলের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী টি এস আইয়ূব, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য মিজানুর রহমান খান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ ইমরান প্রমুখ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড.মো.ইসহক, গোলাম রেজা দুলু, মো. মুছা, এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু, আব্দুস সালাম আজাদ, যশোর নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মিঠু, মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড.শহীদ ইকবাল হোসেন, শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুজ্জামান মধু, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্ত্তজা এলাহী টিপু, বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামসুর রহমান, অভয়নগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু প্রমুখ।