স্টাফ রিপোর্টার ॥ পিতার বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ করেছেন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সাথী খাতুন।শনিবার যশোর কোতয়ালি থানায় তিনি এ অভিযোগ করেছেন। সাথী খাতুন যশোর সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মোঃ জালাল শেখের কন্যা। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ব্র্যাক অফিসে তিনি চাকরি করেন। লিখিত অভিযোগে সাথী খাতুন জানিয়েছেন, ২০০৫ সালে পতেঙ্গালী গ্রামের ফজর আলীর পুত্র মোঃ রওশন আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। ফাতেমা খাতুন নামে তাদের একটি মেয়ে রয়েছে। ২০১১ সালে রওশন আলীর সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ফাতেমা তখন মায়ের কাছে চলে আসে। বর্তমানে সে সেক্রেড হার্ট স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
সাথী খাতুন বারোবাজারের চাকরি করায় ফাতেমাকে পতেঙ্গালী গ্রামে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেন। এরপর রওশন আলী তার দ্বিতীয় স্ত্রী হীরা খাতুন, পিতা ফজর আলী ও মাতা ডলি বেগম মিলে ফাতেমাকে জোরপূর্বক ভেকুটিয়া আহসানিয়া মিশনের সেল্টার হোমে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু ফাতেমা শেল্টার হোমে যেতে রাজি না হওয়ায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি পিতা রওশন আলী তাকে মারধোর করে এবং খুন করার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে রওশন আলী তার মা ও পিতা মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখের ভেতর হারপিক ঢেলে দেয়। এতে ফাতেমা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে সাথী খাতুন লিখিত অভিযোগে অনুরোধ জানিয়েছেন।