যশোরে অস্বাভাবিক মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি অব্যাহত

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। বাজারে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্য। চাল ,ডাল, চিনি, সবজি, মুরগি ও গরুর মাংসের দাম এ সপ্তাহেও অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়। ভোক্তারা বলছেন, রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য তারা সরকারি তদারকি সংস্থার গাফিলতিকেই দায়ী করছেন।
সরেজমিন দেখা যায়,এ সপ্তাহেও চালের দাম কমেনি। শুক্রবার বড় বাজার চালবাজারে বাংলামতি চাল মান ও প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬৬ টাকা থেকে ৭২ টাকা পর্যন্ত। মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকা। বিআর ২৮ ধানের চাল বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। কাজললতা বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা থেকে ৫৬ টাকা। মোটা নূরজাহান চাল বিক্রি হয়েছে ৪৬ টাকা থেকে ৪৮ টাকা আর বিআর ৬৩ ধানের চাল ৬৪ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে সব ধবনের ডালও অস্বাভাবিক দরে বিক্রি হচ্ছে। চিকন দানার দেশি মসুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, আমদানি করা মোটা মসুর ডালের কেজি ১১০ টাকা, মুগ ডাল ১৭০ টাকা, ছোলার ডাল ১০০ টাকা, খেসারির ডাল ১০০ টাকা, বুটের ডাল ৭০ টাকা, ছোলা ৮৭ টাকা, চিনি ১৪০ টাকা। এসব পণ্যের দাম বেড়ে আর কমেনি।
বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৩ টাকায়।
এদিকে বড় বাজারে খামারের ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা ও গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মুরগি ও গরুর মাংস বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহে এসেও শীতের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল উচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটোর কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর কেজিতে ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু একসাথে তিন কেজি কিনলে বিক্রেতা ১০০ টাকা দাম নিচ্ছেন।
গতকাল বড় বাজারে ক্রেতা মনিরুল ইসলামের সাথে কথা হয়। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিন বলেন রমজানের আগেই চাল ডাল মাংসের দাম যা বাড়ার তা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তিনি সরকারি নজরদারি সংস্থাগুলোকে বাজার তদারকির ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।