রাজগঞ্জে শীতে রবি ফসলের ক্ষতির আশংকা

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে মাঝারি শৈত প্রবাহ বয়ে যাওয়ায় কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে চলতি মৌসুমে রোপণকৃত বোরো ধানসহ রবি ফসলের।
ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে চলতি বোরো আবাদে। পাশাপাশি রবি ফসলের মধ্যে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, গম, মরিচ, মসুরি, সরিষা ও ভুট্টার কোল্ডইনজুরি ও পোকার আক্রমণে কৃষকরা মহাচিন্তায় পড়েছেন। এ উপজেলায় ২৪৯টি গ্রামে এ সময় সাধারণত গম,ভুট্টা পেঁয়াজ,রসুন, শাকসবজি ও ধনিয়াসহ শীতকালীন বিভিন্ন সবজি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এছাড়া রসুন, পেঁয়াজ, ফুলকপি, বাঁধাকপি,সরিষা, মসুরিসহ নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। বিশেষ করে রসুনের গাছ হলুদ বর্ণের হয়ে আগা শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগ এর নামকরণ করেছে পার্পলব্লচ রোগ।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ উপজেলার ২৪৯টি গ্রামে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৩০০হেক্টর জমিতে। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষেতে বোরো ধান লাগানো হয়েছে ১৭ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান রয়েছে ৫ হাজার ৫২৫ হেক্টর ও উফসি জাতের ধান রয়েছে ১২ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও বোরো ধান রোপণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া এ মৌসুমে সরিষা ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর, গম ২৫০ হেক্টর, আলু ১২৫ হেক্টর, ভুট্টা ১৮৫ হেক্টর, মসুরি ৩৮০ হেক্টর, সবজি ১ হাজার ৮৬০ হেক্টর, মরিচ ৬৬ হেক্টর, পেঁয়াজ ৩৭৮ হেক্টর ও রসুন ১২৭ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। তীব্র শীতে এসব ফসলের ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।