শয়ের নিচে পেঁয়াজ, কমছে আদা-রসুনের দামও

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ অবশেষে ঝাঁঝ কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের। গত কয়েক মাস ধরে মাঝে মধ্যেই সেঞ্চুরি হাকায় পেঁয়াজের দাম। এতে বিপাকে পড়ে সাধারণ ভোক্তারা। তবে বুধবার পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা জানায় ভারতের খাদ্যমন্ত্রী রাম বিলাস পাসোয়ান সরকার। আর এ খবরে রাজধানী ঢাকার পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে নিত্য প্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম।
গত সপ্তাহে শ্যামবাজার, কারওয়ানবাজারে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ টাকায়। আর পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ টাকা কেজি দরে।
গতকাল শ্যামবাজার, কারওয়ানবাজার, কচুক্ষেত বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ টাকায়, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৫৫ টাকা। পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক মাসে কয়েক ধাপে মিয়ানমার, পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সেই সঙ্গে ভারতের পেঁয়াজ রফতানির ঘোষণায় বাজারে এর দাম আরো কমবে।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ ও রসুন সমিতির প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা শুনেছি ভারত পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এখন তো ধীরে ধীরে দাম কমছে। আরো কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে দাম কমেছে আদা, রসুনেরও। প্রতি কেজি কেরালা আদা (ভারতীয়) পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। চায়না আদার দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা করে কমে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আবার রসুনের দাম আপাতত কমলেও কয়েকদিন পর আবার বেড়ে যেতে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, রসুন ও আদা এই দুটি মূলত চীন থেকে আমদানি নির্ভর। এখন বাজারে যে রসুন পাওয়া যাচ্ছে তা আগের শিপমেন্টের। সরবরাহ না বাড়ানো গেলে কয়েকদিন পর রসুনের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
বর্তমানে প্রতি কেজি রসুন পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।