‘ডামি নির্বাচনে’ আ.লীগের নতুন সরকার গঠনে হতাশ নয় যশোর বিএনপি

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচনে স্বল্পসংখ্যক ভোটারের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের পরও বিএনপি শিবিরে হতাশার ছাপ পড়েনি। বরং ভোট গ্রহণের দিন ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় নিজেদের আন্দোলন নিয়ে উজ্জীবিত নেতা-কর্মীরা। লোকসমাজের কাছে এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন বলেন, কোনো কর্মী দূরে থাক, সাধারণ মানুষ পর্যন্ত হতাশ নয়। আমরা জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি করেছিলাম। জনগণ আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভোট বর্জন করেছে। তাই জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে আমরা এখন গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি করছি। জনগণ আগের মতোই আমাদের প্রতি আস্থাশীল। তারা আশাবাদী বিএনপির নেতৃত্বে খুব দ্রুতই এই অবস্থার অবসান ঘটবে। মামলা হামলার শিকার হয়েও প্রতিটি নেতা-কর্মী নবউদ্যোমে উজ্জীবিত। এখনও মাঠে আছি মাঠেই থাকবো। আগামীতে কেন্দ্র থেকে যে কর্মসূচি আসবে, আমরা তার যথার্থ বাস্তবায়ন করবো ।
অভয়নগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারাজী মতিয়ার রহমান বলেন, ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নয়, বিএনপির নেতৃত্বে জনগণের বিজয় হয়েছে। জনগণ সরকারের ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। সুতরাং তড়িঘড়ি করে মন্ত্রিসভা গঠন করে সরকারের উল্লসিত হবার কিছু নেই। আমাদের কর্মীরা আগের মতই উজ্জীবিত। নির্বাচনের আগে আমাদের কর্মীরা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছিল । এখন তারা গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলির কাজ করছে।
শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুজ্জামান মধু বলেন, আমাদের কর্মীরা আগের মতই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে আছে। কর্মীদের মুখে কোনো হতাশা নয়, বিজয়ের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ভোটের মাঠে যায়নি। ভোটের পর আমাদের কর্মীরা আবার জনগণের মাঝে।
কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস বলেন, আমাদের দাবিয়ে রাখতে সরকার সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করেও ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ভোট বর্জন করেছে। এটাই আমাদের বড় বিজয়। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অতীতে যে ভাবে রাজপথে ছিলাম, আমাগীতে একই ভাবে রাজপথে থাকবো।
ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্ত্তজা এলাহী টিপু বলেন, আমার উপজেলার একটি কর্মীও হতাশ নয়, বরং তারা আগামীর আন্দোলনের জন্য শক্তি সঞ্চয় করছে। দেশনায়ক তারেক রহমান জনগণকে কতটা ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছেন,তার প্রমাণ ভোট বর্জন, আমরা মাঠে ছিলাম মাঠেই আছি।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা বলেন, বিএনপি আমাদের অভিভাবক সংগঠন। বিএনপি তার লক্ষ্যে অবিচল রয়েছে। অতীতে দেশ ও জনগণ রক্ষার আন্দোলনে আমার যেভাবে অভিভাবক সংগঠনের পাশে থেকে শক্তি জুগিয়েছি, আগামীতে একইভাবে শক্তি জোগাবো। নির্বাচনের আগে সরকার আমাদের জেলে রেখে তার অসৎ উদ্দেশ্যেসাধন করার চেষ্টা চালিয়েছিল। আমি মনে করি সরকার সেখানে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে ভরে আমাদের মনোবল ভাঙতে পারেনি। আমরা আমাদের লক্ষ্যে অবিচল রয়েছি।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল বলেন, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ব্যাহত করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই আন্দোলন এখনও চলমান। হয়তো সময়ের বিবেচনায় আন্দোলনের গতিপথ পাল্টাতে পারে। তবে এটা সত্য বিএনপির ডাকে জনগণ ভোট বর্জন করেছে। সরকার যতই বলুক না কেন, শতকরা ৪০ ভাগ ভোট পড়েছে। কিন্ত বাস্তবে ৫ থেকে ৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। সুতরাং বিএনপির ভোট বর্জনের আন্দোলন সফল হয়েছে।