নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মোংলায় নৌকার ১২ নেতা- কর্মীকে কুপিয়ে জখম

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বাগেরহাটের মোংলায় নৌকা প্রতীকের নেতা-কর্মীদের কুপিয়ে জখম করেছেন ঈগল প্রতীকের কর্মীরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ১২জনের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত রোববার রাতে ও সোমবার সকালে পৃথক এ হামলার ঘটনা ঘটে।
উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন শেখ জানান, গত রোববার ভোটের দিন নৌকার এজেন্ট থাকায় ওইদিন রাতে মাদুরপাল্টা গ্রামে ৭নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মানবেন্দ্র মল্লিক (৩৫) ও তার ভাই দিজেন্দ্র মল্লিককে (৩৩) দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন ঈগল প্রতীকের কর্মী সজল ও উজ্জ্বল। এছাড়া একই সময়ে ওই ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামে ঈগলের কর্মীদের হামলায় আহত হন নৌকা প্রতীকের আরেক কর্মী সুমন শেখ (১৮)।
এদিকে.সোনাইলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন সরদার জানান, নৌকায় ভোট দেওয়ায় রোববার রাতে ঈগল প্রতীকের কর্মীরা সোনাইলতা গ্রামের নৌকা প্রতীকের কর্মী রবিউল শেখ (৪২), জুবায়ের সরদার (২৩), নাজমুল সরদার (২৪), তফিম সরদার (৩৫) ও আজমল সরদারকে (৫৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেন। তাদের উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাজমুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা কবির উদ্দিন ও হুমায়ুন সরদার বলেন, নৌকা জিতেও নৌকা প্রার্থীর নেতা-কর্মীরা মারধরের শিকার হচ্ছেন। আমরা জিতলেও শান্ত রয়েছি, কিন্ত ঈগলের লোকজন গায়ে পড়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া সোমবার দুপুরে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের শ্রমকল্যাণ সড়ক এলাকায় ঈগল প্রতীকের কর্মী মো. সাকিলসহ ৫/৬ সংঘবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীকের কর্মী আব্দুস সালাম মোল্লা, শিউলি, কুলসুম ও ফারুক বয়াতীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের লাঠিসোঁটার আঘাতে নৌকার এই চারকর্মী গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে দুপুরেই থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে পৌর শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে,এম আজিজুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনার অভিযোগের তদন্ত করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।