ধারের ২০ লাখ টাকা ফেরত না দিতে বাঘারপাড়ার গৃহবধূর অভিনব প্রতারণা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রেস ক্লাব যশোরের সাইফুল আলম মুকুল কনফারেন্স রুমে বাঘারপাড়ার হিংগারপাড়া  গ্রামের মঞ্জুর হাসান অপু সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন পাওনা টাকা চাওয়ায় গৃহবধূ রুমি খাতুন তার বিরুদ্ধে নান অপপ্রচার শুরু করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জুর হাসান অপু লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ এনে মানববন্ধন করা হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, একই উপজেলার রায়পুর গ্রামের ইমরুল হোসেনের স্ত্রী রুমি খাতুনকে জমি কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা ধার দেন তিনি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় চাপ প্রয়োগ করলে রুমি খাতুন দুটি ১০ লাখ টাকার চেক দেন । চেক ২টি খাজুরা শাখার রুপালি ব্যাংকে জমা দিলে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা জমা না থাকায় চেক ডিজঅনার হয়। এরপর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ দিয়ে ১ মাসের সময় দিলেও তিনি টাকা পরিশোধ করেননি। বাধ্য হয়ে রুমি খাতুনের বিরুদ্ধে ২টি চেক ডিজঅনারের মামলা করেন। মামলার নোটিশ পাওয়ার পর রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালিশের মধ্য দিয়ে ১ লাখ টাকা আদায় করেন।
তিরি আরও জানান, আসামি রুমি খাতুন তার নামে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার চেষ্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত পিবিআইকে তদন্ত করতে দেন। এ মামলায় পিবিআই তদন্ত করে নির্দোষ প্রমাণ করে রিপোর্ট দাখিল করে। রুমি খাতুন ওই তদন্ত রিপোর্টের বিপরীতে না রাজি আবেদন করলে আদালত সিআইডি যশোরের ওপর তদন্ত করতে দেন। যা তদন্তাধীন আছে। এ বিষয়ে তার কাছে সকল প্রমাণসহ কল রেকর্ড রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান।
মঞ্জুর হোসেন অপু জানান, আসামি পক্ষ তার টাকা না দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং মানববন্ধন করে তাকে হয়রানি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তার বাবা আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস, চাচা আবু কদর বিশ্বাস, মামাতো ভাই নজরুল ইসলাম, ভাই গোলাম সরোয়ার, চাচা আলতাফ হোসেন বিশ্বাস এবং মিজানুর রহমান।