শৈলকুপায় সরিষা ফুলের সৌন্দর্যে মনোরম ফসলের মাঠ

0

মফিজুল ইসলাম, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ)॥ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কৃষকের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ। যার সুগন্ধে প্রাণ জুড়ায় পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফসলি জমিতে হলুদ ফুলে ছেয়ে যাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় সরিষার ফলন গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে দ্বিগুণ পাওয়ার স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা। কম সময়ে ও স্বল্প পুঁজি ব্যয়ে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকরা এখন সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। এদিকে মৌমাছি দিয়ে সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করে ফলন বাড়ার পাশাপাশি সরিষা চাষিদের হচ্ছে বাড়তি আয়।
উপজেলার ধলহরাচন্দ্র, কুশবাড়িয়া, বাগুটিয়া, দিগনগর,বগুড়া,ফাজেলপুর, কচুয়া,রতিডাঙ্গা, ত্রিবেনী ভাটইসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে দেখা যায়, বিঘার পর বিঘা জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এখন মাঠে হলুদ রঙের সরিষা ক্ষেতে হলুদের হাতছানি। ফুলে ফুলে ভরা। ফুটন্ত ফুল হতে মধু সংগ্রহে পরিশ্রম করে যাচ্ছে মৌমাছি। গুনগুন শব্দে হলুদ সরিষা ক্ষেতে মৌমাছির আনাগোনা এবং মধু আহরণের দৃশ্য বড়ই চমৎকার।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শৈলকুপা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তিন হাজার ৭শ ৩৫ হেক্টরের বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় সরিষার আবাদ ৬শ ১৮ হেক্টর জমি বেশি হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে সরকারি হিসেবের চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এ বছর সরকারি প্রণোদনা হিসেবে ১০ হাজার ৫শ জন কৃষককে বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে উন্নতমানের সরিষার বীজ। এবার বারী ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, ৯ ও বিনা-৯ নামের জাতের সরিষার আবাদ করেছেন কৃষকরা। যার থেকে বিঘা প্রতি ৫-৬ মণ সরিষার আশা করছেন কৃষকেরা।
উপজেলার ধাওড়া গ্রামের সরিষা চাষি আজাদ মাস্টার বলেন, আমন ধান ঘরে তোলার পর বেশ কিছুদিন জমি ফাঁকা পড়েই থাকে। তাই স্বল্প সময়ে বাড়তি আয়ের চিন্তা করে প্রতি বছর এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি।সরিষা তুলে বোরোধান আবাদ করব।
ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনোজ কুমার বিশ্বাস জানান, এবার ছয়টি জাতের সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আমন ধান ঘরে তোলার পরেই কৃষকরা ওই জমিতে সরিষা চাষ করেছেন।