বিয়ের মাধ্যমে ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তি

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ পাশবিক নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে আদালতের মধ্যস্থতায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাদী পক্ষের আইনজীবী সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টনের চেম্বারে এই বিষেয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুরুল ইসলামসহ উভয় পরিবারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের সময় তিন মাস বয়সী শিশু সন্তান নিয়ে হাজির হন কনে তানিয়া আক্তার রিয়া। এই বিয়ের মাধ্যমে ধর্ষণের মামলাটি নিস্পত্তি করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টন জানান, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের ১৫ বছর বয়সের এক কিশোরীর সঙ্গে একই গ্রামের মিজানুর রহমান মিজুর ছেলে মিকাইল হোসেনের (২২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মিকাইলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ২০২৩ সালের ১৫ জুন আদালতে কিশোরীর মা মামলা করেন। এরমধ্যে কিশোরী একটি কন্যা সন্তানের মা হয়।
সোমবার ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুরুল ইসলাম জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদৌলা শুনানি শেষে পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীকে হয় বিয়ে, না হয় কঠোর শাস্তি ভোগের শর্ত জুড়ে দেন। আদালতের এই কঠোর অবস্থানের কারণে আসামি পক্ষের আইনজীবী বাদী পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং উভয় পক্ষের পরিবার আদালতের বিয়ের শর্ত মেনে নেন।
এদিকে আদালতের নির্দেশ পেয়ে সোমবার দুপুরে বাদী পক্ষের আইনজীবী সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টনের চেম্বারে কাজী ডেকে ৫ লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। বাদী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, তিনি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পেয়েছেন।