পেঁয়াজে অস্বস্তি হলেও সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। সরবরাহ কমে আসায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে না। শীতকালীন নতুন সবজির দাম এখনও বেশ খানিকটা বেশি। চাহিদা না থাকায় ইলিশ মাছের দাম এ সপ্তাহে কিছুটা কমেছে। খামারের মুরগি সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও দেশি মুরগির দাম অনেক বেশি। আগামী সপ্তাহে চালের দাম কমার সম্ভাবনার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার যশোরের বড় বাজারের চিত্র এমনই দেখা যায়।
শুক্রবার বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮৫/৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় লাল পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। বড় বাজার কালীবাড়ী মার্কেটের আড়ত ‘নিতাই গৌর ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী নিতাই সাহা জানান, যশোরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশি পেঁয়াজ আসে রাজবাড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে। সেখানকার হাট-বাজারে পেঁয়াজের আমদানি কমে গেছে। এ কারণে দাম মোটেও কমছে না। তবে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাজারে স্বাভাবিক হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। সে সময় পেঁয়াজের দাম কমে আসবে।
বাজারে শীতকালীন নতুন সবজি পেঁয়াজের কালি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা, মুখীকচু ১০০ টাকা,নতুন আলোর কেজি ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, টমেেেটা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা ও আলু ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য সবজির দাম বেশ খানিকটা কমেছে। মুুলোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা,বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা।
এদিকে বড় বাজারে দেশি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা। তবে খামারের মুরগির দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, লেয়ার ২৬০ টাকা ও সোনালি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়।
শীতকালে ক্রেতাদের কাছে ইলিশ মাছের চাহিদা কমে গেছে। এ কারণে বাজারে এ সপ্তাহে কিছুটা দাম কমেছে। বড় বাজার মাছবাজারের খুচরা বিক্রেতা এরশাদ আলী জানান, তিনি শুক্রবার নদীর ১ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১৭০০ টাকা, ৮০০/৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১৪০০ টাকা, ৭০০/৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১২০০ টাকা ও ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
বাজারে এ সপ্তাহে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বড় বাজার চাল বাজারে মোটা নূরজাহান চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে প্রতি কেজি ৪৬/৪৮ টাকা, বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২/৫৪ টাকা, কাজললতা বিক্রি হচ্ছে ৫৪/৫৬ টাকা, মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৬/৫৮ টাকা, বিআর ৬৩ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২/৬৪ টাকা ও বাংলামতি বিক্রি হচ্ছে ৬৮/৭০ টাকায়। যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার বিশ্বাস জানান, হাট-বাজারে নতুন ধান উঠেছে। আগামী সপ্তাহে চালের দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।