সবজি কিছুটা হলেও ইলিশের দাম কমলো না, চিনির দাম বাড়ছেই

0

 

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ ভরা। দাম এখনও আকাশচুম্বি। এদিকে ১০/১১ দিন আগে ১৩৩ টাকায় বিক্রি হওয়া চিনির কেজিতে ব্যবসায়ীরা ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার পর আরও ১টাকা বাড়িয়ে ১৪৬ টাকায় বিক্রি করছেন। এ সপ্তাহে খামারের মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। দুয়েকটা সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেশির ভাগ সবজিই গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
মা ইলিশের ডিম নির্বিঘ্নে ছাড়ার লক্ষ্যে সরকার বাইশ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছিল। গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর নিষিদ্ধ সময় শেষ হওয়ার পর এখন বাজারে ইলিশ আসছে। গভীর নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা কূলে অবস্থান করছে। এ কারণে বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম। গতকাল শুক্রবার যশোরের বড় বাজার মাছবাজারে খুচরা বিক্রেতা এরশাদ আলী জানান, এখনও শতকরা ৯৫ ভাগ ইলিশের পেটে ডিম রয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া ইলিশ ধরা নিষ্দ্ধি সময় ঠিক হয়নি, বরং আরও এক মাস পিছিয়ে দিলে সব মাছ ডিম ছাড়তে পারতো। উপকূলের মৎস্যজীবীরাও আরও এক মাস ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময় পিছিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন সরকারের কাছে।
ইলিশ বাজারে আসলেও দাম কিন্তু মোটেও কমেনি। ১ কেজি ২০০/৩০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ১৮শ টাকা, এক কেজি ইলিশ ১৪শ টাকা, ৭০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ১১শ টাকা, ৪০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ৮শ টাকা ও ৩০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
বাজারে চিনির কেজি ১৪৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত ১০/১১ দিন আগে ১৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। সে সময় ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজিতে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা দরে বিক্রি শুরু করেন। গতকাল খুচরা দোকানগুলোয় আরও ১টাকা বাড়িয়ে ১৪৬ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
এদিকে সবজির দাম এ সপ্তাহেও অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বরবটির কেজিতে ৩০ টাকা কমে ৫০ টাকা, শিমের কেজিতে ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা ও কাঁচা মরিচের কেজিতে ২০ টাকা কমে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজি যেমন, টমেটোর কেজি ১২০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, বেগুন ৪০/৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০/৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০/৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০/৪০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা ও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এ সপ্তাহে খামারের মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল শুক্রবার বড় বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা ও লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে, বড় বাজার কাঠেরপুলে ১৭/১৮টি গরুর মাংসের দোকানের ভেতর এক সপ্তাহ ধরে মাত্র দুটি দোকানে ৬২০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বাকি ১৫/১৬টি দোকানে এখনও তালিকা টানিয়ে ৬৫০ টাকা দরে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা যায়
গতকাল বড় বাজারে ক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, চিনির দাম ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত বাড়িয়ে চলেছে। তাছাড়া কাঠেরপুলে দুজন বিক্রেতা হৃষ্টপুষ্ট এঁড়ে গরুর মাংস ৬২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলেও অন্য বিক্রেতারা কেন এই দামে এখনও বিক্রি করছেন না। আসলে বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি সংস্থাগুলোর কোনো তৎপরতা দেখা যায় না। এ কারণে যে যেমন পারছে পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে।