কেশবপুরের ৯৮ মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন

0

জয়দেব চক্রবর্তী, কেশবপুর(যশোর)॥ কেশবপুরে এ বছর ৯৮ টি দুর্গাপূজার মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ৫ দিনব্যাপী হবে শারদীয়া দুর্গোৎসব।
ইতোমধ্যে উপজেলায় ৯৮ টি মন্ডপে প্রতিমা শিল্পীরা তাদের রং -তুলির আঁচড়ে দেবী দুর্গার প্রতিমাকে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন।মন্ডপগুলোতে গেইট, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জার প্রস্তুতি চলছে। শুক্রবার ২০ অক্টোবর থেকে ৫ দিনব্যাপী শুরু হবে শারদীয়া দুর্গা উৎসব। আর মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে শারদীয়া দুর্গাপূজা।
প্রতিমা তৈরির ভাস্কর পল্লাদ ও বাপ্পা বিশ্বাসের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৪/৫ দিনের মধ্যে প্রায় সবকয়টি পূজামন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হবে।
৯ অক্টোবর সোমবার সকালে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের শারদীয়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন শৃংখলা রক্ষার বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এবার উপজেলায় ৯৮ টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা মন্ডপগুলোর মধ্যে রয়েছে কেশবপুর পৌরসভায় ৯টি, ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে ১টি, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে ১৩টি, মজিদপুর ইউনিয়নে ৬টি বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে ৬টি, মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ৪টি, সদর ইউনিয়নে ৭টি,পাঁজিয়া ইউনিয়নে ৯টি, সুফলাকাটি ইউনিয়নে ১১টি, গৌরিঘোনা ইউনিয়নে ১১টি, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ১১টি ও হাসানপুরে ১০টি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেশবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার সুকুমার সাহা জানান,উপজেলায় এবার ৯৮ টি পূজা মন্ডপে চলছে রং -তুলির আঁচড়ে দশভূজা দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজ।
এবারের দুর্গা পূজায় আইন শৃংখলার বিষয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান বলেন, দুর্গাপূজা উদযাপনে ৪ স্তরের সার্বিক নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর পাশাপাশি অধিক নিরাপত্তার জন্যে মন্ডপের আশপাশে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়ন থাকবে। এছাড়া উপজেলাব্যাপী পুলিশের ভ্রাম্যম্যাণ টিম সর্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. আরিফুজ্জামান বলেন,দুর্গোৎসব পালনের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে।পূজা চলাকালীন যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।