সাংবাদিককে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখবো তোরে কে বাঁচাতে আসে’ বলেও হুমকি দেয় হামলাকারীরা। মারধরের ঘটনায় জড়িত সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী বলে জানা গেছে।
রোববার বেলা ১১ টায় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ২য় ভবনের সামনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার মোশাররফ শাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও দৈনিক প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। আহত অবস্থায় মোশাররফকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তার শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, আহত মোশাররফের কপালে চারটি সেলাই দিতে হয়েছে। বুকে ও হাতেও আঘাত থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেকে পাঠানো হয়েছে।
আহত মোশাররফ শাহ বলেন, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আমি উপাচার্যের কার্যালয়ে যাচ্ছিলাম ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, ভাঙচুর, প্রধান প্রকৌশলীকে মারধরসহ বক্তব্য নেওয়ার জন্য। এ সময় দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী আমাকে প্রথমে পেছন থেকে ধাক্কা দেন। এরপর ছাত্রলীগ নিয়ে কেন প্রতিবেদন করেছেন, তা জানতে চান। কয়েকজন আমার কপালে, মুখে কিল-ঘুষি দেন, বুকে লাথি দেন, হাতেও আঘাত করেন।
মোশাররফ জানান, মারধরের সময় তারা আমাকে পরবর্তীতে ছাত্রলীগ নিয়ে আর কোন প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকি দেন। তারা বলেন, ‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে। ছাত্রলীগকে নিয়ে কোনো নিউজ হবে না।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সিএফসির নেতা রেজাউল হক রুবেল বলেন, এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি খোঁজ নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, এ বিষয়ে অবগত আছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। (সূত্র: দেশ রূপান্তর)