কপিলমুনি-হরিঢালী এলাকায় কপোতাক্ষ নদে ফের ভাঙন

0

কপিলমুনি (খুলনা) সংবাদদাতা॥ পাইকগাছার কপিলমুনি হরিঢালী সীমান্তে কপোতাক্ষ নদে আবারো ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে নির্ঘুম রাত পার করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। নদের পানি বৃদ্ধি ও পানির গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। কপিলমুনি ইউনিয়নের ভেদামারি গ্রামের আংশিক ও হরিঢালী ইউনিয়নে দর্গাহমহল গ্রামটির ভাঙনে নদের কূলের মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ।
নদের পাশে বসবাসরত সৈয়দ হাবিবুর রহমান, শেখ মিজানুর রহমান ও সৈয়দ সালামউল্লাহ বলেন, আমাদের বাপ-দাদার ভিটায় আমরা শত বছর ধরে বসবাস করে আসছি। কপোতাক্ষের ভাঙনে আমাদের সব কিছু চলে গেছে। নুরুল ইসলাম বলেন, অল্প একটু জমির ওপর একখানা ঘর ছিলো। তাও সোমবার রাতে আকস্মিক ধ্বসে চলে যেতে বসেছে। ছেলে- মেয়েদের নিয়ে সারারাত বসে থাকি কখন না ঘরখানা নিয়ে চলে যায় নদী গর্ভে। আমাদের আর জমি কেনার ক্ষমতাও নেই যে অন্য কোথাও জমি কিনে বসবাস করবো। আমাদের পূর্বপুরুষের প্রায় ৫০/৬০টি ঘর-বাড়ি নদের গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কপিলমুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার ও হরিঢালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী রাজু বলেন, আমরা ভেদামারি ও দর্গাহমহল গ্রামের ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবল মন্টুরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট বলেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
পাইকগাছা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ হাওলাদার বলেন, আমরা ভাঙনের বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বরাদ্দ এলে শুকনোর সময় কাজ শুরু হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবল মন্টু বলেন, ভাঙনের বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এখানে মোটা অঙ্কের টাকার প্রয়োজন।
প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ আরও বলেন, সার্ভে করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করবো। পাইকগাছা-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মাদ আলআমিন বলেন,জানতে পেরেছি ভেদামারী, মালথ আগড়ঘাটা ও দর্গাহমহল ভাঙনের বিষয়টি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আকতারুজ্জামান বলেন, এ ভাঙনের ফলে দুটি গ্রাম বিলিন হওয়ার পথে। সে কারণে কপোতাক্ষ নদের আগড়ঘাটা ভাঙন কবলিত স্থানগুলোর ভাঙন ঠেকাতে এক কিলোমিটার দূর দিয়ে বিকল্প নদী খনন কাজ চলমান আছে।