সংকটে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল

0

বি এম আসাদ ॥ প্রয়োজনীয় ওষুধ নেই। নেই চিকিৎসা উপকরণ। এমন অসংখ্য নেই নিয়ে চলছে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল। কর্তৃপক্ষ বলছেন, নতুন টেন্ডার হয়েছে। ঠিকাদার ওষুধ ও মালামাল সরবরাহ করলে সংকট কেটে যাবে।
সূত্র জানিয়েছেন, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সার্জারি ও অর্থোপেডিক বিভাগে যারা ক্ষত-বিক্ষত শরীর নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন, তাদের প্লাস্টার ও জিপসনার প্রয়োজন হয়। সরকারিভাবে হাসপাতাল থেকে এসব সরবরাহ করা হয় কিন্তু কোন রোগী এখন এসব পাচ্ছেন না। একমাত্র গজ ও তুলা ছাড়া সব কিছু বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হচ্ছে। এরপর ব্রাদার, ওয়ার্ডবয় ও স্বেচ্ছাসেবকরা রোগীদের ক্ষতস্থান প্লাস্টার বা ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছেন। বিনিময়ে ১শ’ টাকা করে নিচ্ছেন। এরপরও মিলছে না সরকারি চিকিৎসা উপকরণ জিপসনা, মোপরুল ও আনুসাঙ্গিক সেবা। গত দেড়মাস ধরে চলছে এ অবস্থা। একই অবস্থা চলছে ওষুধের ক্ষেত্রেও। প্রতি বছর অন্তত কোটি টাকার ওষুধ দেয়ার কথা রোগীদের। কিন্তু কোন ওষুধ কি পরিমাণে দেযা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
সূত্র জানিয়েছেন, টেন্ডারে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে যে ওষুধ কেনা ও দেয়ার কথা তার অধিকাংশ রোগী পান না। কিছু দিন দেয়ার পর ওই সব ওষুধের সংকট দেখিয়ে খাতাপত্র তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, ইডিসিএল লিঃ থেকে যে ওষুধ দেয়া হয় তাও অনেক সময় রোগীরা পায় না। আগে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৫০ প্রকার ওষুধ দেয়া হতো। বর্তমানে দেয়া হচ্ছে ২২ প্রকার। তাও অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ নেই।
ঠিকাদারের সরবরাহকৃত ওষুধ শেষ হয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে। ইডিসিএল থেকে যে ওষুধ দেয়া হচ্ছে তার মধ্যে শিশুরোগীদের প্রয়োজনীয় সিরাপসহ অনেক ওষুধ নেই। নেই এন্টিবায়োটিক ওষুধ। কম দামের কিছু ওষুধ আর নিম্নমানের গ্যাসের ট্যাবলেট দিয়ে রোগীদের বিদায় করা হচ্ছে। অধিকাংশ ওষুধ রোগীদের বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হচ্ছে। নিয়মবহির্ভুতভাবে টিকিট বাবদ বাড়তি টাকা নেয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের যথাযথ সেবা দিতে পারছেন না। অপারেশন থিয়েটারেও একই অবস্থা চলছে। অজ্ঞান করা ওষুধ এমনকি সুতাও কিনতে হয় রোগীদের। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, প্রায় দেড়মাস ধরে ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণ নেই। এসব কোথায় কাকে দেয়া হয় তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলেন, উপকরণ না থাকলে কিভাবে দেব। তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ হারুন অর রশীদ বলেন, নতুন টেন্ডার হয়েছে। ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়েছে। তারা এখনো মালামাল দেয়নি। যে সব ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণ নেই তা পাওয়া যাবে। আগের ওষুধ শেষ হয়ে গেছে বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক।