কপিলমুনিতে ভালো ফলনের আশায় চাষিরা হলুদ বীজ রোপণে ব্যস্ত

0

এইচ.এম.শফিউল ইসলাম,কপিলমুনি (খুলনা) ॥ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে চাষিরা হলুদের বীজ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। দেরিতে হলেও মাঝে মধ্যে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে ভালো হলুদ আবাদের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে । পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২৫ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হচ্ছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলীতে হলুদ চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উঁচু জমি ও হালকা ছায়াযুক্ত জমিতে হলুদের বীজ রোপণ করা হয়েছে। হলুদ চাষের জন্য উঁচু জমি ও হালকা ছায়াযুক্ত জায়গায় হলুদ চাষ ভাল হয়। বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত হলুদের বীজ বপণ করা হয়। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসাবে ওল ও আলুর বীজ রোপন করা যায়।
উপজেলার কপিলমুনি হরিঢালী ইউনিয়নে নগর শ্রীরামপুর,প্রতাপকাটি নোয়াকাটি নাছিরপুর গ্রামে হলুদের ব্যাপক আবাদ হচ্ছে। নাবা গ্রামের বজলুর রশিদ জানান, হলুদ চাষ করার জন্য জমি উত্তমরুপে চাষ করতে হয়। এরপর মই দিয়ে মাটি সমান করে দুই পাশের মাটি উঁচু করা হয়। এই উঁচু মাটির মধ্য হলুদের বীজ রোপণ করা হয়। উঁচু মাটির পাশে হালকা নালামত তৈরি হয়। বৃষ্টি হলে ওই নালা দিয়ে পানি বের হয়ে যায়। এতে হলুদের বীজ নষ্ট হয় না। কপিলমুনির নাছিরপুর গ্রামের হলুদ চাষি নজরুল ইসলাম,জাকির হোসেন জানান, এক বিঘা জমিতে হলুদ রোপণ করতে প্রায় ২০০ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। তিনি প্রতিবছর হলুদ চাষ করেন। এ বছরও প্রায় দুই বিঘা জমিতে হলুদের বীজ রোপণ করছেন। হরিঢালীর কৃষক আব্দুল মহিন জানান, হলুদ চাষের জন্য এ বছর উপযুক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে,ভালো ফলন পাবো আশা রাখছি। কপিলমুনির বিউটি হলুদ ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা আব্দুর রউফ,শেখ আঙ্গুর আলী,শেখ আনারুল ইসলাম বলেন সেই ব্রিটিশ আমল থেকে কপিলমুনির হলুদের নাম দেশ বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। তারা আরও বলেন এখনও খুলনা বেতার হতে কপিলমুনি বাজারের দরদাম প্রচার হয়।