বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক জটিলতা বাড়ছে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। মূলত লিভার সিরোসিস থেকেই তার শারীরিক জটিলতা বাড়ছে। পেটে পানি চলে আসছে। প্রতিনিয়ত তা অপসারণ করতে হচ্ছে। লিভার সিরোসিসের কারণে শরীরে প্রোটিন কমে যাচ্ছে। তবে হাসপাতালের কেবিনে রেখেই বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসকদের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম।
বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি এ তথ্য জানান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বোর্ডের বরাত দিয়ে ডা: রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা বোর্ডের পরামর্শে তার চিকিৎসকরা চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে চিকিৎসা বোর্ড থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে, তার চিকিৎসা দেশে আর সম্ভব হচ্ছে না। তাকে বাইরে নিতে হবে। চিকিৎসা বোর্ড থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম যে রুমে আছেন, সেই রুমে তাকে ক্লোজ মনিটরিংয়ে রেখে তার চিকিৎসা চলছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার স্বাস্থ্য বিষয়ে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তার জন্য জনগণ ও নেতাকর্মীরা উদ্বিগ্ন। সবাই তার সুস্থতা কামনা করছেন।’
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হতে থাকে। তখন তাকে দেখতে হাসপাতালে যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবারও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। যার ফলে রাতে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা বৈঠক করেন। চিকিৎসকরা কিছু ওষুধে পরিবর্তন আনেন। একইসঙ্গে তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে প্রয়োজন ছিল ম্যাডামকে বিদেশে নিয়ে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা। যেটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তার পায়ের বাতের ব্যথা বাড়ছে। হার্টের সমস্যা রয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
কতোদিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে থাকতে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মেডিকেল বোর্ডের ওই সদস্য জানান, এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটি নির্ভর করছে তার সুস্থতার ওপর।