বিএনপি করায় বাঁওড়ে পাট জাগ দিতে মানা!

0

ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা॥ যশোরের ঝিকরগাছায় বিএনপি করায় সরকারি বাঁওড়ে পাট জাগ দেওয়ায় ২ কৃষককে মারপিট করা হয়েছে। এছাড়া জাগ দেওয়া পাট উঠিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ৮টার দিকে শিমুলিয়া ইউনিয়নের মাটিকোমরা গ্রামে।
বিএনপি নেতা শহীদ আলীর ছেলে বাঁওড়পাড়ের বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, বাঁওড়ে কয়েক শ কৃষক পাট পচাতে দিয়েছেন। তাতে কোন সমস্য হচ্ছে না। তার চাচা বিএনপি নেতা আওলাদ হোসেন (৭৫) সোমবার বিকেলে ৭০ আটি পাট বাঁওড়ে পচাতে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে শিমুলিয়া শেখপাড়ার বাসিন্দা বাঁওড় ইজারাদার ক্ষমতাসীন দলের কর্মী রেয়াজউদ্দিনের ছেলে শাহিন হোসেন ও ইউসুফ আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন রাত ৮টার দিকে মাটিকোমরা গ্রামে আওলাদ হোসেনকে খুঁজতে যান। আওলাদ হোসেন তখন ওই গ্রামের আব্দুল জলিলের চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় বাঁওড়ের মাছচাষি শাহিন ও জয়নাল ওই দোকানে গিয়ে কেন বাঁওড়ে পাট পচাতে দিয়েছেন তা জানতে চান। তখন কৃষক আওলাদ হোসেন বলেন, অন্য কৃষকরা একই বাঁওড়ে পাট পচাতে দিয়েছে তাই তিনিও দিয়েছেন। বলার সাথে সাথে কোন বিএনপি বাঁওড়ে নামতে পারবে না বলেই আওলাদ হোসেন ও তার ভাই শহীদ আলীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন তারা। এছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে বাঁওড় পাট উঠিয়ে নিতে বলে। যা গতকাল মঙ্গলবার সকালে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান সরদার বিষয়টি দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, বাঁওড়ে অন্য কৃষকরা পাট পচাতে দিচ্ছেন। তাহলে কৃষক আওলাদ ও শহীদ আলীর অপরাধ কি? আর কী কারণে তাদেরকে মারপিট করে বাঁওড় থেকে পাট উঠিয়ে দিয়েছেন তা আমার বোধগম্য নয়। সেটা বাঁওড় ইজারাদারের ব্যাপার বলেও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে ইজারা দেয়া সরকারি বিল বাঁওড়ে কৃষকদের পাট জাগ দিতে দেয়ার জন্য আলোচনা হয়েছে। কৃষককে মারপিট ও পাট উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
উল্লিখিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু।