বাগেরহাটে চার দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটে ইন্টার্নশিপ বহালসহ চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। বুধবার  বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসের মধ্যে ছাত্র হোস্টেলের সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, রক্ত লাগলে রক্ত নিন,তবু দাবি মেনে নিন’- এমন নানা স্লোগান দেন তারা।
ম্যাটস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জিয়াউল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ম্যাটস শিক্ষা কারিকুলামে আমাদের জন্য বাস্তবিক প্রশিক্ষণ তথা ইন্টার্নশিপ বাতিল করা হয়েছে। যা আমাদের দক্ষ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে গড়ে ওঠা থেকে বঞ্চিত করবে। ইন্টার্নশিপ বহালের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।
শিক্ষার্তী মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের দাবিগুলো খুবই যৌক্তিক। এই দাবি মানলে, কারও কোনও ক্ষতি হবে না। কিন্তু আমাদের ম্যাটস শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
শিমু খাতুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ম্যাটস শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে একটু কুচক্রী মহল এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ম্যাটসকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই শিক্ষার্থী।
মেঘলা সাহা বলেন, সারা দেশে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে ২০ হাজারের বেশি ম্যাটস শিক্ষার্থীদের পদ খালি রয়েছে। কিন্তু প্রায় এক যুগ ধরে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের কোনও নিয়োগ নেই। আমাদের অনেকের বয়সও শেষ হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ম্যাটস-এর শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে দুপুর ১২টায় এসব দাবি পূরণের লক্ষ্যে বাগেরহাট মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস)-এর অধ্যক্ষ ডা. শংকর কুমার ঘোষের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
অধ্যক্ষ ডা. শংকর কুমার ঘোষ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের নিয়োগের জন্য কোনও বিজ্ঞপ্তি নেই। অনেক পদ খালি রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর বেশিরভাগ যৌক্তিক। তাদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দাবীগুলো হচ্ছে, অনতিবিলম্বে ইন্টার্নশিপ বহাল রেখে কোর্স কারিকুলাম সংশোধন করা। অ্যালাইড হেলথ বোর্ড বাতিল করে অবিলম্বে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন করা। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অনতিবিলম্বে নিয়োগ প্রদান।