২৫০ টাকার কাঁচা মরিচ যশোরের বাজারে ৪৮০ টাকা !

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ॥ আমদানির পরও ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচের দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখতে দিচ্ছে না। অতি মুনাফালাভের নেশা চেপে বসেছে যেন তাদের। এখনও যে তারা দ্বিগুণ লাভে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন, তা  বুধবার (৫ জুলাই) যশোরের বড়বাজার ঘুরে সে চিত্র পাওয়া যায়। এদিন বেনাপোল থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ কিনে বড়বাজারে ৪৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। সরকারি সংস্থাগুলোর নজরদারিতে ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে এ ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারকরা বেনাপোল থেকেই আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি করে দিচ্ছেন। আনসারি হোসেন সোহেল নামে যশোরের আমদানিকারক গত মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় বেনাপোল থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। সেই মরিচ রাতে যশোরের ব্যবসায়ীরা কিনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বড়বাজারে পাইকারি ৩৯০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেছেন ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকায়। অর্থাৎ আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫০ টাকায় কিনে ভোক্তা পর্যায়ে কেজিতে ২৩০ টাকা বেশি নিয়ে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি কাঁচা মরিচে ঘাটতি যাওয়ার কারণে বিক্রি দাম বেশি পড়ছে।
খুচরা বিক্রেতা নাসির আলী জানান, বড়বাজারের আড়ত থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪২০ টাকায় কিনে তিনি ৪৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, মাত্র ৩৭ কিলোমিটার দূরত্ব (বেনাপোল) থেকে কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকায় কিনে এনে বড়বাজারের আড়তদাররা প্রতি কেজিতে ১৭০ টাকা বাড়িয়ে ৪২০ টাকায় বিক্রি করেছেন।
যশোর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, তারা বুধবারও শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজার, পালবাড়িসহ বেশ কয়েক জায়গায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও সতর্ক করে দিয়েছেন। আজও তারা তাদের বাজার তদারিক অভিযান চালাবেন বলে জানান।
এদিকে জাতীয় ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব জানান, বেশি দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করায় তারা বড় বাজারের সাহা বাণিজ্যালয়ে ২ হাজার টাকা, খলিল স্টোরে ১ হাজার, সুশান্ত বাণিজ্য ভান্ডাওে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
তিনি জানান, মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত দর থেকে বেশি দামে বিক্রি করায় এ জরিমানা করা হয়।
কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনসারি হোসেন সোহেল জানান, বর্তমানে প্রতি টন কাঁচা মরিচ আমদানি করতে তাকে ৩০০ ডলার দিতে হচ্ছে। ১০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করে সাড়ে ৩টন ঘাটতি পড়েছে। আর বেনাপোল স্থলবন্দরে কাস্টমস ডিউটি ও আনুসঙ্গিক খরচ পড়ছে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। তিনি মঙ্গলবার বেনাপোল থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।