তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতির নাম প্রস্তাব নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চলছেই

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতির নাম প্রস্তাব নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চলছেই। কলেজের চলমান সংকট নিয়ে শনিবার দুই পক্ষই প্রেসক্লাব যশোরে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন।
সকাল ১১ টার দিকে প্রথমে অধ্যক্ষ ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিচালনা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত সোহেল রানা। এ সময় তিনি কলেজটির অধ্যক্ষ ড.শাহনাজ পারভীন ও সভাপতি কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সোহেল রানা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহানাজ পারভীন ও বর্তমান সভাপতি কামাল হোসেন বিগত কয়েক বছর ধরে কলেজের নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। তাদের আমলে কলেজের বিভিন্ন পদে ৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা দুজন মিলে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন। কলেজের ল্যাব সহায়ক হাসানকে ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে ব্যবহার করেন অধ্যক্ষ ডা. শাহানাজ পারভীন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এসব অনিয়ম- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে গত ২৩ এপ্রিল কলেজ পরিচালনা পরিষদের বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে শিক্ষক প্রতিনিধি থেকে শুরু করে সবকটি পদেই অধ্যক্ষ শাহানাজ পারভীন ও বর্তমান সভাপতি কামাল হোসেনের অনুসারীরা পরাজিত হন। কিন্তু অবাক করার বিষয় অধ্যক্ষ শাহানাজ পারভীন সদ্য বিজয়ীদের দায়িত্ব পাওয়ার আগেই কারোর সাথে পরামর্শ না করে কামাল হোসেনকে পুনরায় সভাপতি মনোনয়ন দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, অধ্যক্ষ ও কামাল হোসেনের অতীতের সব অপকর্মের বিষয় ফাঁস হওয়ার ভয়ে তিনি নির্লজ্জভাবে দুই দফা দায়িত্বে থাকা বিতর্কিত কামাল হোসেনের নাম আবার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ সত্যি নয় বলে দাবি করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহানাজ পারভীন।
এদিকে দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের একই সভাকক্ষে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন কলেজের বর্তমান সভাপতি কামাল হোসেন। এ সময় তিনি সোহেল রানার সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কলেজের গভর্নিংবডি গঠনের লক্ষ্যে গত ২৩ এপ্রিল যে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কলেজে গভর্নিংবডি গঠনের নীতিমালা অনুযায়ী হয়েছে। বিধি অনুযায়ী, ডিগ্রি কলেজে সভাপতি ও একজন বিদ্যোৎসাহী মনোনয়ন দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। তবে, সেক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারকে প্রাধান্য দেয়া হয়। যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ তাকে কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি ও রেজাউল ইসলামকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার জন্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে ডিও লেটার দিয়েছেন। এ দু’টি পদ ছাড়া অন্যান্য পদে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী, নির্বাচিত সদস্য কর্তৃক সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। অথচ এ বিষয় নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।