ঈদের চাঁদা না পেয়ে দোকান ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগ

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ উপলক্ষে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে মণিরামপুর উপজেলার কুয়াদার স্বপ্নের ছোঁয়া ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর, মারধর ও লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে গত সোমবার যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। রেস্টুরেন্টের কর্মচারী হুমায়ুন কবীর আশা মামলাটি করেছেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য মণিরামপুর থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনী।
ওই মামলার আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার সিরজসিংগা গ্রামের আবু বক্কার গাজীর ছেলে তাজমুল হোসেন, সামসুদ্দিনের ছেলে হারুন হোসেন ও বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের মান্নান মোল্লার ছেলে আব্দুল মালেক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, সদর উপজেলার সিরাজসিংগা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম হোসেন মণিরামপুর উপজেলার কুয়াদার স্বপ্নের ছোঁয়া ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক। উল্লিখিত আসামিরা বেশ কিছুুদিন ধরে ঈদ উপলক্ষে তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার আসামিরা তাকে খুন-জখমের হুমকি দেন। গত ২০ জুন রাতে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েন কর্মচারীরা। রাত দেড়টার দিকে আসামিরা বাইরে থেকে রেস্টুরেন্টে ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে ঘুম ভেঙ্গে যায় কর্মচারী হুমায়ুন কবীর আশার। তিনি দরজা খুলে দিলে আসামিরা ভেতরে ঢুকে সকলকে মারধর করেন, ভাঙচুর চালান। এছাড়া তারা সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১ লাখ ৭ হাজার টাকা, ৩টি মোবাইল ফোনসেট বিভিন্ন কোম্পানির কোমল পানীয় ও খাবার লুট করে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে মালিক সেলিম হোসেন রেস্টুরেন্টে আসেন এবং আহত কর্মচারীদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।