অগ্নিমূল্যের বাজারে মধ্যবিত্তের ভরসা মুরগির পা

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।।খাদ্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে অসহায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ বর্তমানে মাংসের স্বাদ মেটাচ্ছেন মুরগির পা খেয়ে। কেজিতে অন্তত ৩০ পিস মুরগির পা কিনে পরিবারের চাহিদা মেটাতে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এদিকে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে আদা প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৯০ টাকা। আলুতেও বেড়েছে আরও ৫ টাকা। পেঁয়াজ ৭০ টাকায় উঠে আর কমেনি। সবজি, মাছ ও মাংসের বাজারও গরম। কমেনি চিনির দাম। শুক্রবার (২৬ মে) যশোরের বড়বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
গত রোজার শেষে শহরের বড়বাজার কাঠেরপুলের বিক্রেতারা গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি শুরু করার পর আর কমাননি। খাসির মাংস প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছাগীর মাংসও বিক্রি হচ্ছে ৯শ টাকার ওপরে। সাধারণ মানুষের স্বস্তির জায়গা খামারের ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়েও নয়ছয় চলছে। একেক সময় একেক রকম দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। কোনসময় ২২০, আবার কোনসময় ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা।
খাদ্যপণ্যের চড়া মূল্যে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ অনেক আগেই মাংস কেনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। এই শ্রেণির হাতে কম পরিমাণে মুরগির মাংস ধরিয়ে দেওয়ার জন্য বাজারে চালু হয়েছে কাটা মুরগির মাংস বিক্রি। তারও দাম নেহায়েত কম না। বড়বাজারে কাটা মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৬০ টাকা। কিন্তু স্বল্প আয়ের মানুষ ২০০/২৫০ গ্রাম মাংস কিনে তাদের পরিবারের সব সদস্যর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন। বাধ্য হয়ে তারা মুরগির পা কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। শুক্রবার বড়বাজারে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির পা (৩০ পিস) বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। আর সোনালি মুরগির পা বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়।
এদিকে অন্যান্য খাদ্যপণ্যের সাথে আদার দামও হুহু করে বেড়েই চলেছে। গত সপ্তাহেও বাড়তি মূল্য ৩৫০ টাকা দরে বাজারে আদা বিক্রি হয়েছিল। এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ৯০ টাকা বেড়ে বড়বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকায়। দোকানিরা বলছেন সামনে কুরবানি ঈদ তাই পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে চলেছেন। বাজারে এ সপ্তাহে আলুর কেজিতে আরও ৫টাকা বেড়েছে। শুক্রবার প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়।
বাজারে সবজির দামও অনেক বেশি।  সজনেডাটা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, মুখিকচু ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, করোলা ১০০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা। কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা। চিনির খুচরা বিক্রি মূল্য সরকার নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়ীরা মোটেও তা মানেনি। বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। অথচ সরকার সর্বশেষ দাম বাড়িয়ে দর নির্ধারণ করেছে ১২০ টাকা।