চৌগাছায় মুখিকচু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেকে

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় মুখিকচু একটি লাভজনক ফসল হিসেবে কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলাতে আড়ই শ হেক্টর জমিতে মুখিকচুর চাষ হয়েছে। মাটির গুনাগুন ভেদে বারী মুখিকচু-১ ও বারী মুখিকচু-২, মূলত এই দুই জাতের কচু চাষ বেশি হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকাতে কমবেশি চাষ হলেও নারায়ণপুর ও স্বরুপদাহ ইউনিয়নে কচু চাষ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এলাকার অনেকেই কচু চাষ করে এখন স্বাবলম্বী বলে অনেকে জানান।
সোমবার উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হাজরাখানা, বড়খানপুর, পেটভরা, চাঁদপাড়া, স্বরুপদাহ ইউনিয়নের খড়িঞ্চা, আন্দারকোটা, টেংগুরপুর গ্রামের বেশ কিছু মাঠ ঘুরে কচু চাষের ব্যাপকতা লক্ষ্য করা গেছে। পবিত্র মাহে রমজানের দিন কাঠফাটা রোদে কৃষক জমিতে বিরামহীন ভাবে কাজ করছেন। এ সময় কথা হয় চাঁদপাড়া গ্রামের মৃত বাদল ম-লের ছেলে কৃষক শান্তি মন্ডলের সাথে। তিনি জানান, মুখিকচু আমরা স্থানীয় ভাবে সারোকচু হিসেবে চিনি বা জানি। প্রায় একদশক ধরে এ অঞ্চলের কৃষক কচুচাষ করে আসছেন। কচু একটি লাভজনক ফসল সে কারণে গত কয়েক বছর ধরে কচুচাষ করে অনেকেই এখন স্বাবলম্বী। চলতি মৌসুমে কৃষক শান্তি মন্ডল দেড় বিঘা জমিতে কচু চাষ করেছেন। আবহাওয়া জনিত কারণে কোনো সমস্যা না হলে দেড় বিঘা জমিতে তিনি প্রায় ১৫০ মণ কচু পাবেন বলে আশায় বুক বেঁধে আছেন। গত কয়েক দিনে প্রচন্ড রোদ আর তাপের কারণে কচুর বেশ ক্ষতি হয়েছে। এই বৈরী আবহাওয়াতে মাঠে কাজ করাও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে বলে কৃষকরা জানান। ওই মাঠে কৃষক শান্তি মন্ডলের মত স্বপন মন্ডল ১০ কাঠা, আশিকুর রহমান আড়াই বিঘা, শহিদুল ইসলাম ১ বিঘা, ইউনুস আলী ১ বিঘা, সেলিম হোসেন ১০ কাঠা, তাইজেল ১ বিঘা, শফিকুল ইসলাম ১ বিঘা জমিতে কচু চাষ করেছেন। কৃষকরা জানান, ১ বিঘা জমিতে কচুচাষ করতে কৃষকের সব কিছু মিলিয়ে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। ভালো ফলন হলে ৯০ থেকে ১শ মণ কচু উৎপাদন হবে। বাজার দর ভালো পেলে ১ লাখ টাকা বিক্রি করা সম্ভব হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশাব্বির হোসাইন বলেন, মুখিকচুর চাষ ইতোমধ্যে কৃষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলা কৃষি অফিস এ জনপদের চাষিদের নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।