মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইজিবাইক ও রিকশা ভ্যানের আধিক্যে ভোগান্তি

0

মজনুর রহমান,মণিরামপুর (যশোর) ॥ মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রধান ফটক দখল কওে রাখে প্রতিদিন। নির্ধারিত গ্যারেজ থাকলেও সেখানে কেউ যানবাহন রাখে না। অন্যদিকে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগের সামনে সব সময় যত্রতত্রভাবে যানবাহন ফেলে রাখা হয়। ফলে অ্যাম্বুলেন্সসহ রোগীদের ভেতরে ঢুকতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অথচ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে না।
শনিবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটকের সামনে এবং ভেতরে যাত্রীবাহী রিকশা-ভ্যান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। জরুরি বিভাগের সামনে এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে আছে ১০-১২টি ভ্যান। তার পাশেই রয়েছে কয়েকটি ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল। বাকোশপোল গ্রাম থেকে আসা গৃহবধূ ফিরোজা খাতুন জানান, যত্রতত্রভাবে যানবাহন থাকায় প্রধান ফটক পার হয়ে ভেতরে যেতেই যদি ১০ মিনিট সময় লাগে। তাহলে ডাক্তারের কাছে যাব কখন!
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের সামনে নির্ধারিত গ্যারেজে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি মোটরসাইকেল। অথচ গ্যারেজের পাশে বহির্বিভাগের সামনে এলেমেলোভাবে রিকশাভ্যান ও মোটরসাইকেল রাখা রয়েছে। ফলে যাতায়াত করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্স চালক এখলাস উদ্দিন অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যত্রতত্রভাবে যানবাহন রাখায় রোগী নিয়ে যাতায়াত করতে হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের একাধিকবার বলা হলেও কে নো সমাধান হয়নি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেশ কয়েকজন কর্মী বলেন, ইতঃপূর্বে প্রধান ফটকে সব সময় একজন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকায় অহেতুক কোনো যানবাহন ভেতরে প্রবেশ করতে পারত না। কিন্তু বর্তমান না থাকায় ভেতরে অবাধে চলাচল করছে। বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা.তন্ময় বিশ্বাস বলেন, সার্বক্ষণিক একজন আনসার সদস্য মোতায়েন করতে প্রতিদিন খরচ হয় পাঁচ শ টাকা। কিন্তু সে টাকার যোগান দিতে না পারায় আপাতত মোতায়েন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন,গ্যারেজে একজন সার্বক্ষণিক লোক রাখার চেষ্টা চলছে। তখন হয়ত সমস্যার সমাধান হবে।