আমন মৌসুমে চৌগাছা খাদ্য গুদামে ধান দেয়নি কৃষক

0

 

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ চলতি আমন মৌসুমে এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি যশোরের চৌগাছা উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। ঘটা করে ধান সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করা হলেও নির্ধারিত সময়ে কৃষকরা কোনও ধান দেয়নি। সরকারের ধার্য দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যে আবারও এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়েছে।
উপজেলা খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমন মৌসুমে চৌগাছাতে ৭৩৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ প্রায় তিন মাস আগে কার্যক্রম শুরু করে। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান সংগ্রহের দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু দীর্ঘ এই সময়ে ১ কেজি ধানও কিনতে পারেনি গুদাম কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পেরে পুনরায় চলতি মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, সরকারি ভাবে এক মণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১শ ২০ টাকা। কিন্তু খোলা বাজারে ধানের দাম সরকারের বেধে দেওয়া দামের চেয়ে অনেক বেশি। বাজারে ১ মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১২শ ৫০ থেকে ১২শ ৮০ টাকা পর্যন্ত। তাই কৃষক গুদামে ধান বিক্রি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
এদিকে খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ ধানে ব্যর্থ হলেও চাল সংগ্রহে সাফল্য পেয়েছে। মিলাদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ চাল সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। চালের সরকারি দাম আর বাজারের দামে খুব একটা পার্থক্য না হওয়ায় এটি সম্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেও এক কেজি ধান কিনতে পারিনি। বাইরে ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষক গুদামে ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করছে। তবে চাল সংগ্রহ সন্তোষজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৯৮ শতাংশ চাল সংগ্রহ হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে চাল শতভাগ সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।