চৌগাছায় ঘন কুয়াশায় আমের মুকুলের ক্ষতির আশংকা

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পড়ছে ঘন কুয়াশা। রাতে কুয়াশা তেমন দেখা না গেলেও সূর্য় উদয়ের সাথে সাথে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে গোটা উপজেলা যা সকাল দশটা নাগাদ অব্যাহত থাকছে। কুয়াশার কারণে সড়কে স্বাভাবিক চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে বিঘ্ন, কর্মজীবী মানুষেরা সময় মত কাজেও যেতে পারছে না। বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন আম চাষিরা। অবিরাম কুয়াশায় আমের মুকুল কালো হয়ে ঝরে পড়ছে।
শীত বিদায় নেয়ার সাথে চৌগাছায় বেড়েছে কুয়াশার দাপট। প্রতি দিন সকালে সূর্য উদয়ের সাথে সাথে গোটা এলাকা ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে, যা সকাল ৯ টা, কোন কোন দিন ১০ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে বলে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে সব ধরনের যানবাহন।
উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের আম চাষি নাজমুল ইসলাম, আবু সাঈদ, ফারুক ইকবাল বলেন, আবাহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে সব কিছুই যেন পরিবর্তন হয়েছে। এই সময়ে আগে কখনও এমন কুয়াশা দেখা যায়নি। দু’একদিন বিচ্ছিন্নভাবে কুয়াশা হলেও তাতে সমস্যা হয়নি। কুয়াশার কারণে প্রতিদিনই গাছে ওষুধ স্প্রে করে মুকুল রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে, তারপরও অকালেই গাছ থেকে মুকুল কলো হয়ে ঝড়ে পড়ছে।
পেটভরা গ্রামের দিনমজুর শফিকুল ইসলাম, চাঁদপাড়া গ্রামের জাবেদ আলী বলেন, প্রতিদিন কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে চৌগাছায় আসতে হয়। গত কয়েক দিন ধরে যেভাবে কুয়াশা পড়ছে তাতে সময় মত বাড়ি থেকেই বের হতে পারছিনা, অনেক দিন কাজও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বাসচালক নজরুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে দশ হাত দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছেনা। সকাল থেকেই কুয়াশার দাপট চলে । তা ৯ টা, ১০ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। এই সময়ে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। কৃষক আব্দুল মালেক, ফজলুর রহমান বলেন, কুয়াশার কারণে ফসলের তেমন কোন ক্ষতি না হলেও মাঠে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সমরেন বিশ্বাস বলেন, প্রতি বছরই বর্তমান সময়ে কুয়াশার প্রভাব কিছুটা বেশি দেখা যায়, তবে দীর্ঘস্থায়ী হয় কম। এ বছর কুয়াশা সকালে বেশি হচ্ছে। কুয়াশা কেটে যাওয়ার সাথে সাথে চাষিদের আমের মুকুলে পানি স্প্রে করতে বলা হচ্ছে। পানি স্প্রে করলে মুকুলের তেমন কোন ক্ষতি হবে না। তবে অন্যান্য ফসলের ক্ষতির সম্ভবনা খুবই কম বলে তিনি জানান।