পাওয়ার হাউজের যন্ত্রাংশ চুরি, চার ঘণ্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন বাঘারপাড়ার একাংশ

0

বাঘারপাড়া (যশোর) সংবাদদাতা॥ যশোরের বাঘারপাড়ায় পাওয়ার হাউজে বিদ্যুতের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার মহিরন এলাকায় ভোর রাতের এ চুরির ঘটনায় উপজেলার পৌরসভা, মহিরন ও নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎ বিভাগের সাড়ে ১৮ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। চুরির বিষয়ে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার দিবাগত রাত চারটার কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পাওয়ার হাউজের (বাঘারপাড়া-১ উপকেন্দ্র) স্টিলের বেড়া কেটে ভোল্টেজ রেগুলেটর ও পাওয়ার ট্রান্সফরমারের গ্রাউন্ডিং কপার ওয়্যার কেটে নিয়ে যায়। এর ফলে রাত চারটা থেকে সকাল ৮টা ২০ পর্যন্ত উপজেলার বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এরপর যশোর অফিস থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এনে বিদ্যুৎ লাইন ঠিক করা হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় চরম বিপাকে পড়ে বোরো চাষিরা। এছাড়াও ফজরের নামাজের মুসুল্লি ও গৃহিনীরাও বিপাকে পড়েন। সেখানের কর্তব্যরত একজন লাইনম্যানের ঘুমানোর কারণে এমনটি ঘটেছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। যন্ত্রাংশের দাম ১৮ হাজার ৫শ ৪৬টাকা।
মহিরন এলাকার বোরো চাষি মুরাদ হোসেন জানান,‘গভীর নলকূপের আওতায় আমার জমি আছে। ফজরের নামাজের সময় জমিতে পানি দেয়ার জন্য মাঠে যাই। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় আমার চার ঘন্টা সেখানে বসে থাকতে হয়। ভেবেছিলাম সেচ দেয়ার পর সবজি নিয়ে হাটে (বাঘারপাড়া) যাবো। তা আর হলো না। তিনি এ সকল অপকর্ম ঠেকাতে সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।
একই ধরনের কথা বলেন এক চাকরিজীবী গৃহিনী। তিনি বলেন,‘সবকিছু বিদ্যুৎ নির্ভর হয়ে গেছি। বিদ্যুৎ না থাকায় রাইস কুকার চালাতে পারিনি। তাই অফিসে যেতে একটু দেরি হয়ে গেছে’।
বাঘারপাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুর রহিম জানান, চুরির বিষয়ে আমরা বাঘারপাড়া থানাকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ প্রসাশন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। এসময় তিনি আরও বলেন একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত টিমের মাধ্যমে তদন্ত করা হচ্ছে। যদি বিদ্যুৎ বিভাগের কারো গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যায় তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।