সংবাদ সম্মেলনে দলীয় এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ঝিকরগাছা আ.লীগ সভাপতির

0

 

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এবার সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন।  শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ঝিকরগাছা-চৌগাছা আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দীনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে একশ্রেণীর কুচক্রী মহল আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের স্পর্শকাতর ইস্যুতে মুক্তিযোদ্ধাদের মুখোমুখি অবস্থানে ঠেলে দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছাসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি গত ২৭ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে অত্র উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. লিয়াকত আলীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা মিথ্যা-বানোয়াট বলে দাবি করেন। ওই ঘটনার সময় অনুষ্ঠানস্থলে তিনি উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও তাকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানান।  তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। সে ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত নেতা মাস্টার মকবুল হোসেনের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। একই নির্বাচনে এমপি নাসির উদ্দীনের ভাইরা ভাই নুরুল ইসলাম জামায়াত নেতার নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট ছিলেন । এসব লোকেরাই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছেন বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, জামায়াতের সাথে শতভাগ সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত ও সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল নাসির উদ্দীনের ভাইরা ভাইয়ের কারণে এলাকা মানুষ অতিষ্ট। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা এখন নানা ষড়ডন্ত্র করছে। বিশেষ করে দলের ত্যাগীদেরকে নানাভাবে বিতর্কিত করছে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা উপস্থিত থাকলেও তিনি কোনো কথা বলেননি। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা মো. লিয়াকত আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একজন সুবিধাবাদী রাজনীতিক। এর আগে তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে উপজেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করছে। সর্বশেষ গত ২৭ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে আমাকেসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করে। এরপর থেকে এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পর থেকে এখন জামায়াত-বিএনপির তকমা লাগিয়ে আমাদের বিতর্ক করার চেষ্টা করছেন।