পঞ্চগড়ে গণমিছিলে গুলি, বিএনপি নেতা নিহত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫১) নামে এক বিএনপি নেতা নিহত হন। এতে আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে প্রায় শতাধিক রাবার বুলেট, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এর আগে, দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে গণমিছিলের প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন সেখানে। পরে গণমিছিল বের করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। নিহত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফিনের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের পাথরাজে। তিনি ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাবিব আল আমিন ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করেছে। পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জে আমাদের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে। অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তৌফিক আহমেদ জানান, হাসপাতালে একজনের মৃতদেহ আছে। তবে মৃত্যুর কারণ তিনি বলেননি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল ইসলাম জানান, পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলেও গুলি চালায়নি। অপরদিকে, গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ ২০ জনকে আটক করে। শনিবার বিকেলে মহানগরীর রাজবাড়ী সড়কের জজকোর্ট সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিলে আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিকেল সোয়া ৩টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এসময় গাজীপুর জজ কোর্ট সংলগ্ন রাজবাড়ী সড়কের কাছে গণমিছিলে অংশ নিতে আসা কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি মিছিল হয়। মিছিলটি রাজবাড়ি সড়কে আসার সময় পেছন থেকে বিনা উস্কানিতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশের নায়েক জহির ও কনস্টেবল মিন্টু মিয়া আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।