অভয়নগরে শিক্ষার্থীদের সাথে তাস খেলে শিক্ষক দিবস উদযাপন!

0

 

স্টাফ রির্পোটার অভয়নগর(যশোর)॥ অভয়নগরে শিক্ষার্থীদের সাথে তাস খেলে শিক্ষক দিবস উদযাপন করেছে পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজের খণ্ডকালিন বাংলা শিক্ষক ও অন্বেষণ নামের একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক রফিক সানি। সে পায়রা গ্রামের লুৎফার রহমানের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে  বুধবার দুপুরে পায়রা বাজার সংলগ্ন অন্বেষণ কোচিং সেন্টারের মধ্যে অবস্থিত ওই শিক্ষকের বেডরুমে। ২জন ছাত্রী ও একজন ছাত্র নিয়ে তাস খেলছেন। এ বিষয়টি তাদের নিজেদের মুখ ডেকে ছবি তুলে সেই ছবি ফেসবুকে আপলোডও করেছেন ওই শিক্ষক। ছবির সাথে লিখেছেন, শিক্ষক দিবসের বড় উপহার তোদের আগমন। তোরা না আসলে সত্যিই দিনটি হতাশায় ডুবে যেত। ভালোবাসা নিস প্রাণের টুকরাগুলো। এই কথা গুলো লিখে তিনি তার ফেসবুকে আপলোড করেছেন।
এ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সচেতন মহল। নাজির নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, পেশার সাথে এই মোনাজাত তাও আবার ফেসবুকে আপলোড চরম ধৃষ্টতা ও নিন্দনীয়।
ইমন হোসেন নামে একজন লিখেছেন, শিক্ষক যদি ছাত্রকে কলমের বদলে তাস তুলে দেয় সে শিক্ষক হতে পারে না।
মিকাইল নামে একজন লিখেছেন ভদ্রতা ভার্সিটিতে শিক্ষা দেওয়া হয় না, ভদ্রতা শিক্ষা দেয় পরিবার।
মিঠু মোল্যা নামের অপর একজন লিখেছেন, শিক্ষকের কাছ থেকে এ জাতীয় কর্মকান্ড আশা করা যায় না। অনেকে অবক্ষয়ের যুগে নিত্য নতুন অসামাজিক কার্যকলাপ ও অপসাংস্কৃতি চর্চার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা নীতি নৈতিকতা ও আদর্শ শিখবে কি উল্টো সামাজিক অবক্ষয় ডেকে আনছেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পায়রাবাজার নূরানী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় ৪টি রুম নিয়ে এ কোচিং সেন্টারের অবস্থান। ৩টি কক্ষে পাঠদান হলেও ১টি কক্ষে থাকেন ওই শিক্ষক।
এলাকাবাসীর অভিমত দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতার আড়ালে সে শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে উৎসাহ দিয়ে আসছে। তাছাড়া তার বিকৃত চিন্তা চেতনা ছড়িয়ে দিচ্ছে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের মাঝে। অভিযোগ রয়েছে, নানা স্পর্শকাতর বিষয়ে লেখালেখি করে আলোচনায় আসতে চাচ্ছেন এই শিক্ষক ।
এব্যাপারে জানতে চাইলে পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম ইকবাল কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কি বার্তা দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে রফিক সানি বলেন, আমি ছবি আপলোড দিয়ে কোন অন্যায় করিনি। এরা সবাই আমার সাবেক শিক্ষার্থী।
চলিশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানা আঃ মান্নান জানান, তার এহেন কার্যক্রম গ্রহণযোগ্য নয়, এগুলো আমাদের সমাজ সমর্থন করেনা। পায়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বিশ্বাস জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি, এধরণের কাজ সে আগেও করেছে। এগুলো মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।