মনিরামপুরে ১০২ টি মন্দিরে দূর্গোৎসব চলছে প্রতিটিতে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা

0

মজনুর রহমান,মনিরামপুর(যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুরে ১০২ টি মন্দিরে শান্তিপূর্ন ও আনন্দঘন পরিবেশে দূর্গোৎসব চলছে। এ পর্যন্ত কোনপ্রকার অপ্রীতিকর কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। দূর্গোৎসব নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। নিয়োজিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা।
উপজেলা প্রশাসন জানান, এবার মনিরামপুর উপজেলায় দূর্গোৎসব পালিত হচ্ছে মোট ১০২ টি মন্দিরে। এর মধ্যে পৌরশহরে পালিত হচ্ছে ১১ টি এবং অন্যান্য স্থানে হচ্ছে ৯১ টিতে। শুরু হয়েছে ১ অক্টোবর থেকে এবং বিসর্জন দেওয়া হবে ৫ অক্টোবর। তবে এবার দূর্গোৎসব নির্বিগ্ন করতে এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের শনাক্ত করতে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে প্রতিটি মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পাশাপাশি মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করতে নেওয়া হয়েছে কড়া পদক্ষেপ। মনিরামপুর থানার ওসি(তদন্ত) গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, সিসি ক্যামেরা স্থাপন ছাড়াও প্রতিটি মন্দিরে সার্বক্ষনিক নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশের পাশাপাশি অন্তত: আটজন আনসার সদস্য। এছাড়া সার্বক্ষণিক মোতায়েন রয়েছে পুলিশের ২৭ টি মোবাইল (ভ্রাম্যমান) টিম। তবে উপজেলার হাজিরহাটে মন্দির কমিটি গঠন নিয়ে দুপক্ষের বিরোধের কারনে সেখানে নিয়োজিত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কবির হোসেন জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় এবার মনিরামপুরে প্রতিটি মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। তবে এর মধ্যে স্বস্ব মন্দির কমিটি নিজেদের অর্থায়নে ৫৮ টি মন্দিরে সিসিক্যামেরা স্থাপন করেছেন। বাকী ৪৩ টিতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে অর্থায়নে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
পৌরশহরের দোলখোলা কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর গৌর কুমার ঘোষ জানান, কমিটির উদ্যোগে এবার মন্দিরে চারটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। অপরদিকে কাশিমনগর ইউনিয়নের মথুরাপুর দূর্গাপূজা মন্দির কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ দাস, ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের সুবলকাঠি দুর্গাপূজা মন্দিরের সভাপতি স্বপন বিশ্বাস, গাবুখালি দক্ষিনপাড়া মন্দিরের সাধারন সম্পাদক রামপ্রসাদ জানান, প্রতিমন্ত্রীর অর্থায়নে উপজেলা পরিষদ থেকে একটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আবার মনিরামপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক জানান, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এবার বাকোশপোল কালিতলা মন্দিরে একটি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে মশিয়াহাটি, রাজগঞ্জ, খেদাপাড়াসহ বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরে ভক্তদের উপচেপড়া ভীড় বেশ লক্ষনীয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারি কমিশনার(ভূমি) আলী হোসেন জানান, প্রতিটি মন্দির পরিদর্শন করে কোথায় কোনপ্রকার অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তুলসি কুমার বসু, সাধারন সম্পাদক তরুন কুমার শীল জানান, দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগীতায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার সাথে প্রতিটি মন্দিরে দূর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। মনিরামপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আশেক মামুন সুজা জানান,অপ্রীতিকর যেকোন ঘটনা প্রতিরোধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে সদা প্রস্তুত।