যশোরে ধোঁকা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারকচক্রের আরও দুই সদস্য আটক

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানুষকে দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারকচক্রের আরও দুই সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার রাতে শহরের রেলবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত উপকরণ ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন-যশোর শহরের শংকরপুরস্থ মুরগির ফার্মের (রেল কোয়ার্টারেরর বাসিন্দা) মৃত আব্দুল মান্নান খাঁনের ছেলে আজম খাঁন (৪৮) ও চাঁচড়া রায়পাড়ার আহসান আলীর ছেলে আমানুর রহমান (৩৭)।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আটক দুজনকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হলে এর মধ্যে আমানুর রহমান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেলবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারকচক্রের সদস্য আজম খাঁন ও আমানুর রহমানকে তারা আটক করেন। এ সময় আমানুর মোবাইল ফোনসেট মেরামতের দোকান থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মশা মারার কয়েল রাখার মাটির পাত্রসহ প্যাকেট জব্দ করা হয়। এছাড়া প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত আমানুর রহমানের মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়। সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন প্রতারণামূলক কর্মকা-ের সত্যতা স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে আজম খাঁন ডিবি পুলিশকে জানিয়েছেন, চক্রের হোতা আকামত আলী মন্ডল তাকে ১৬ হাজার টাকা ভাগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে আমানুর রহমানকে ২ হাজার টাকা ও আশরাফ আলীকে ২ হাজার টাকা ভাগ দেন তিনি এবং বাকী ১২ হাজার টাকা নিজে নেন।
উল্লেখ্য, প্রতারক চক্রের সদস্যরা যশোর শহরের মণিহার এলাকার ফলপট্টির একটি মসজিদে বসে ধোঁকা দিয়ে আবুল হাসান মোল্লা নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে গত ২৬ জুন ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এর আগে তার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরও ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলো। নগদ ৪ লাখ টাকা দিলে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে এমন ধোঁকা দিয়ে আবুল হাসান মোল্লার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় প্রতারকচক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যশোরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে গত ৯ আগস্ট ডিবি পুলিশ যশোর ও মাগুরায় পৃথক অভিযান চালিয়ে চক্রের হোতা আকমত আলী মন্ডল ও সদস্য আশরাফ আলীকে আটক করে। এ সময় চক্রের হোতা আকমত আলীর কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা, ৫ ব্যক্তির কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নেয়া স্ট্যাম্প, একই নম্বরের ২টি ২০ টাকার নোট, নড়াইল পৌরসভা ও থানা শিক্ষা অফিসারের সিল জব্দ করা হয়। এরপর ১০ আগস্ট শংকরপুরস্থ কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে টিপু সরদার নামে চক্রের আরেক সদস্যকে আটক করে ডিবি পুলিশ। গত বুধবার আরো দুজনকে আটক করায় এ নিয়ে চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। আর ভুক্তভোগী আবুল হাসান মোল্লা খুলনার রূপসার দুর্জ্জনী মহল এলাকার মৃত আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে।