কলারোয়ায় আ.লীগ নেতাকে মারধর,বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর

0

 

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা ॥ কলারোয়ায় খোরদো কার্পেটিং রাস্তা মেরামতে ঠিকাদার নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান হামলার শিকার হয়েছেন। তাকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকালে কলারোয়ার দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করার অভিযোগ করেছেন হামলার আহত আব্দুল মান্নান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল মান্নান বলেন, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন খোরদো বাজারে কার্পেটিং রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। পরবর্তীতে তিনি সেখানে গিয়ে ওই ইট ব্যবহার না করার জন্য ঠিকাদারকে জানান। এ সময় ইট সরবরাহকারী ইটভাটা মালিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফের ভাই আমানুলের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে আব্দুল মান্নান খোরদো বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বসে পুলিশ ক্যাম্পের কর্মকর্তা ও সাবেক ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলামের সাথে ওই রাস্তার বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মফের নেতৃত্বে তার ভাই আমানুল্লাহ আমান ও আমানের ছেলেসহ ৩০/৪০ জন অজ্ঞাত লোকজন দলবদ্ধ হয়ে দলীয় অফিসে হামলা চালায়। তাদের হামলায় আব্দুল মান্নান রক্তাক্ত জখম হন। এ সময় তারা অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান পন্ড করে দিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মফে বলেন, খোরদো বাজার এলাকায় নতুন রাস্তা হচ্ছে। বৃষ্টি হওয়াতে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ রাস্তা তৈরির ম্যাকাডমে প্রথমে দুই নম্বর ইট ব্যবহার করে ম্যাকাডম শেষে এক নম্বর ইট ব্যবহার করা হয়। এই রাস্তা নিয়ে সকালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের সাথে তার ভাই আমানুল্লাহ আমানের কথা কাটাকাটি বা হামলার ঘটনা ঘটেছে তা তিনি জানতেন না। পরে বিষয়টি জানতে পেরে উভয়পক্ষকে সমঝোতা করতে থানা পুলিশসহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপনকে জানানো হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত আমানুল্লাহ আমানের সাথে তার ব্যক্তিগত ০১৭৪৮-৯৯৮৩৫৩ নম্বর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কলারোয়া থানা পুলিশের ওসি নাছিরউদ্দীন মৃধা জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।