খুলনায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ, নিশিরাতের সরকার পতন আঁচ করতে পেরে মরণ কামড় দিতে শুরু করেছে

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা ॥ খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘পুলিশ দিয়ে হামলা করে, হত্যা করে, মামলা দিয়ে ও গুম করে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে দূরে সরানো যাবে না। অচিরেই বাংলাদেশে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। সকল অনাচারের বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে এবং আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে অবৈধ সরকারকে। নিশিরাতের সরকার নিজেদের পতন আঁচ করতে পেরেই মরণ কামড় দিতে শুরু করেছে। তারা জনগণের সাথে ভাওতাবাজি, অসত্য বক্তব্য এবং বিরোধী দলের জীবন হরণে লিপ্ত রয়েছে। একদিকে সরকার সভা-সমাবেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের লেলিয়ে দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা ও আহত করছে, আবার অন্যদিকে নিজেদেরকে গণতন্ত্রী বলে দাবি করছে।’
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ভোলায় পুলিশের হামলায় স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা আব্দুর রহিম নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির দুদিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথম দিনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে গায়েবানা জানাজাপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তারা এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যা করে অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে বর্তমান সরকার নানা ধরনের সর্বনাশা সহিংসপন্থা অবলম্বন করেছে। গণবিক্ষোভের বিস্ফোরণ ঠেকানোর জন্যই দলীয় চেতনায় সাজানো প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মাঠে নামিয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে প্রতিদিনই বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরছে। বিএনপির কর্মসূচির কথা শুনলেই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী প্রশাসন বিচলিত হয়ে পড়ে।’
জানাজায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা রকিবুল ইসলাম বকুল, জেলা বিএনপির সভাপতি আমির এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, স. ম আব্দুর রহমান, অ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, জুলফিকার আলী জুলু, তৈয়েবুর রহমান, শামীম কবির, আশরাফুল আলম নান্নু, এনামুল হক সজল, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, ওয়াহিদুর রহমান দিপু, শাহিনুল ইসলাম পাখি, রুবায়েত হোসেন বাবু, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কে এম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, অ্যাডভোকেট চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, একরামুল কবির মিল্টন, নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিব বিশ্বাস, শেখ জামাল উদ্দিন, আফসার উদ্দিন মাস্টার, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, কাজী শাহ নেওয়াজ নিরু, নাজমুল হুদা সাগর, ফারুক হোসেন হিল্টন, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মো. জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আক্কাস আলী, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, মাসুদ খান বাদল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ, জি এম রফিক, মনিরুজ্জামান লেলিন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, আরিফুর রহমান আরিফ, এবাদুল হক রুবায়েত, মার্শলা ভূইয়া, রফিকুল ইসলাম বাবু, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, আতাউর রহমান রুনু, মনির হাসান টিটো, এস এম এনামুল হক, সামসুল বারী পান্না, ইশতিয়াক হোসেন ইসতি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, তাজিম বিশ্বাস, গোলাম মোস্তফা তুহিন, আনোয়ার হোসেন আনো, জাবির আলী প্রমুখ। গায়েবানা জানাজার পূর্বে নেতাকর্মীরা কালো ব্যাচ ধারণ করেন।