ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে নাকাল রামপালের ৪০ হাজার গ্রাহক

0

রামপাল (বাগরহাট) সংবাদদাতা ॥ রামপালে পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষের নাকাল অবস্থা হয়েছে। সরকারের ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের ঘোষণা থাকলেও রামপালে তা মানা হচ্ছে না। দিনরাত মানুষ মাত্র ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুতের দেখা পাচ্ছেন।
রামপাল উপজেলাজুড়ে এখন মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং চলছে। আর এ কারণে কল- কারখানার উৎপাদন হ্রাস, ব্যবসা- বাণিজ্যে ধস, হিমায়িত মৎস্য প্রক্রিয়াজাত ব্যাহত, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেন, হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে স্বাস্ব্য সেবা ব্যাহত, লেখাপড়ায় বিঘœ, রাতে চুরির প্রবণতা বৃদ্ধি, মসজিদে নামাজ পড়ায় বিঘœ ঘটার পাশাপাশি নানাবিধ সমস্যার মধ্যে এ উপজলার মানুষ বিদ্যুতের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের ঘোষণা ছিল ১ থেকে ২ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হবে। সিডিউল অনুযায়ী লোডশেডিং করার কথা থাকলেও এখন এসবের কোন কিছুর বালাই নেই। যখন ইচ্ছা তখন লোডশেডিং করা হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ চলে গেল তা দেড়- দুই ঘণ্টার আগে আসছে না। দিনরাত দফায় দফায় লোডশেডিং করা হচ্ছে।
উপজেলার ফয়লাহাট, গৌরম্ভা, গিলাতলা, বাবুরবাড়ি জিরো পয়েন্ট, ভাগা বাজার, রনশেন, পেড়িখালী, ভোজপাতিয়া, মল্লিকেরবেড়, হুড়কা, গিলাতলা, বাঁশতলী, বাইনতলা, উজলকুড়, রাজনগর, ঝনঝনিয়া চেয়ারম্যান মোড়সহ বিভিন্ন মাছের আড়তে বরফের অভাবে ঠিকমতো মাছ প্রক্রিয়াজাত করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে রপ্তানিমুখি চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন বিদ্যুতের অভাবে বরফের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। রামপাল উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মো. কামরুজ্জামানের সাথে এ নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, রামপালে ৪০ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ৬ থেকে ৬.৮ মেগাওয়াট। অফপিক আওয়ারে চাহিদা থাকে ২.৫, ৩.০ বা ৩.৫ মেগাওয়াট। আর পিক আওয়ারে ৪.০ থেকে ৪.২ মেগাওয়াট। আমরা সিডিউল মেনে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করছি। সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতি থাকায় অতিরিক্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে। সন্ধ্যায় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। সবাই ওই সময় ঘরে ঘরে আলো জ্বালায়। এতে চাহিদা বেড়ে যায়। এ কারণে লোড দিতে হয়। মাগরিবের নামাজের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং যাতে না হয় সে বিষয়ে তিনি নজর রাখবেন বলে কথা দিলও কথা রাখতে পারেন নি।