বাঘারপাড়া ডিগ্রী কলেজে ক্লাস চলাকালে শ্রেণিকক্ষেই শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্য!

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বাঘারপাড়া ডিগ্রী কলেজের এক ইংরেজি শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ক্লাস চলাকালীন সময়েই কলেজের শ্রেণিকক্ষে চলছে এই কোচিং বাণিজ্য। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে। অভিযোগ উঠেছে শ্রেণিকক্ষে ওই শিক্ষক ঠিকমত পাঠদান করেন না। এ কারণে নিরুপায় হয়ে শিক্ষার্থীরা তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১২ সালের ২০ জুন জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি ও এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকরা কোনভাবেই কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। কোন শিক্ষক প্রাইভেট পড়ালে তার এমপিও বাতিল হবে। এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে শ্রেণিকক্ষেই প্রাইভেট পড়াচ্ছেন বাঘারপাড়া ডিগ্রী কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শফিকুল ইসলাম। মাসে ১২ দিন পড়িয়ে তিনি প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন পাঁচশ’ টাকা করে। পরীক্ষায় পাসের প্রলোভন দেখিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করছেন।
গতকাল বুধবার বেলা ১১ টার দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় নতুন ভবনের চারতলায় একটি শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীকে এ সময় ওই শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত দেখা গেছে। এ সময় শিক্ষক শফিকুল ইসলাম অকপটে প্রাইভেট পড়ানোর কথা স্বীকার করেন। কলেজ চলাকালীন সময়ে শ্রেণিকক্ষ ব্যবহার করে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিব্রতবোধ করেন এবং শিক্ষক কমনরুমের দিকে চলে যান।
উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হৃদয়, অন্তর, ফারিয়া, অন্তু রাণী ও অমিত সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘স্যার ক্লাসের চাইতে প্রাইভেটে বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়ান। যে কারণে আমাদের নিরুপায় হয়ে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে হচ্ছে।’
কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিনের কাছে জানতে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন বলেন, ‘সরকারি আইন অমান্য করে শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানোর কোন সুযোগ নেই। কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্যের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’